বাংলা দলে বাংলার ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে সিএবি। এক্কেবারে নয়া একটি উদ্যোগে মেতেছে সিএবি। অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটারদের বিভিন্ন জেলা থেকে তুলে আনতে চাইছে বাংলার ক্রিকেট সংস্থা। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তনদের। অদূর ভবিষ্যতে বাংলার ভূমিপুত্রদের উপরেই নির্ভর করতে চাইছে বাংলার ক্রিকেট দল। বাংলা দলে বাংলার ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে সিএবি। রাজ্যের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার তরফে তেমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৩২ বছর আগে বাংলার রঞ্জি জয়ী দলের সদস্যদের। বিভিন্ন জেলার অনূর্ধ্ব-১৬ স্তর থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের তুলে বেছে নেবেন তাঁরা। অশোক মলহোত্র, ইন্দুভূষণ রায় এবং শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়কে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছে সিএবি।
বাংলার প্রতিটি জেলা থেকে ১২-১৩ জন করে ক্রিকেটার খুঁজে আনা হয়েছে। সেই জেলাগুলিকে উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম হিসাবে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। কলকাতা থেকেও ‘এ’ এবং ‘বি’ নামে দু’টি ভাগ করা হয়েছে। কোনও অঞ্চলে পাঁচটি, কোনও অঞ্চলে ছ’টি জেলাকে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে ট্রায়ালের মাধ্যমে ক্রিকেটার বেছে নিচ্ছেন মলহোত্ররা। প্রতিটি অঞ্চল থেকে ১৬ জন ক্রিকেটারের দল তৈরি করা হবে। চার জনকে রাখা হবে স্ট্যান্ড বাই হিসাবে। চারটি অঞ্চল এবং কলকাতা, মোট পাঁচটি দল বেছে নেওয়া হবে ৩০ জুনের মধ্যে। সেই ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ কিছু এক দিনের ম্যাচ খেলা হবে। সমস্ত ম্যাচ হবে লাল বলে। ম্যাচগুলি বারাসাত এবং কল্যাণীর স্টেডিয়ামে খেলা হবে।
এই ম্যাচগুলি থেকে ৩৫ জন ক্রিকেটারকে বেছে নেবেন মলহোত্ররা। মূল লক্ষ্য বাংলার ক্রিকেটের জন্য একাধিক ক্রিকেটারকে তৈরি রাখা। এখন অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটারদের নিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে অনূর্ধ্ব-১৮ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের নিয়েও এই ভাবনা রয়েছে সিএবি-র। বাংলার ক্রিকেট সংস্থার তরফে এই উদ্যোগ নিয়ে মলহোত্র বললেন, “প্রতি বছর এমন উদ্যোগ নেওয়া হলে অনেক ক্রিকেটার হাতে পাওয়া যাবে। বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী সেই ক্রিকেটারদের ব্যবহার করা যাবে।” ইন্দুভূষণ বললেন, “আরও আগে এই উদ্যোগ নেওয়া যেত। কিন্তু করোনার জন্য সম্ভব হয়নি। বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ভাল ক্রিকেটার উঠে আসবে।”
ইন্দুভূষণ বললেন, “মাঠগুলি আমরা ঢেকে রাখতে বলেছি। এখনও ঠিক হয়নি কবে কবে ম্যাচ হবে। চেষ্টা করা হবে বৃষ্টি যে দিন হবে না সেই দিনগুলি ম্যাচ আয়োজন করার। আগামী মাসে ম্যাচগুলি হতে পারে।” উল্লেখ্য, বাংলা ছাড়ছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি অন্য রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট খেলবেন বলে জানিয়েছেন। সিএবি-র এক কর্তার সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে তিনি বাংলা ছেড়ে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলতে যাবেন। কোন রাজ্যের হয়ে খেলবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাংলার এক ক্রিকেটার যখন অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ার পথে, তখন বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে কম বয়সি ক্রিকেটার তুলে আনার চেষ্টা সিএবি-র।