বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠক ছাড়াও অন্যান্য জরুরি বিষয়ে আলোচনা করতে বর্ধমান সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যারা নেবে না, পুলিশকে আমি বলছি এফআইআর করতে। সঙ্গে সঙ্গে হেলথ ডিপার্টমেন্টকে জানতে হবে।” এই সফরে প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহর লাগোয়া গোদা বালির মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই বিজেপিকে যেমন আক্রমণ শানান তিনি, তেমনই রাজ্য সরকারের নানা সুযোগ সুবিধার কথাও তুলে ধরেন তিনি। এদিন বর্ধমানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ”স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যারা নেবে না, পুলিশকে আমি বলছি এফআইআর করতে। সঙ্গে সঙ্গে হেলথ ডিপার্টমেন্টকে জানতে হবে।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ”বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করো না। মা’কে বলো এই সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
কর্মসংস্থান মেলার মধ্যে দিয়ে ৩০ হাজার চাকরি রেডি আছে। আমার এখন লক্ষ্য আছে, চাকরি রেডি আছে। আমরা বিজেপির মতো নয়। এরপরই বিজেপিকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বিজেপির লোকেরা ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ৬ মাস ধরে টাকা দিচ্ছে না। ১০০ দিনের টাকা দাও, নয়তো বিজেপি বিদায় নাও। বাংলার বাড়ি, বাংলার সড়কের টাকাও আটকে দিয়েছে। আমি একটা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। দেখি কী হয়, না হলে আমাকে দিল্লী যেতে হবে সমস্যার সমাধান করতে।” বিজেপির দাবি ভোঁতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, ”গুজরাতের নামে থাকতে পারে, তাহলে বাংলার নামে থাকতে আপত্তি থাকে। কেন বাংলার নাম দেওয়া হয়েছে, তাই বাংলার বাড়ির টাকা দেবে না, বাংলার সড়কের টাকা দেবে না। বাংলা নাম চলবে। দেশের নামও চলবে।
Read: নিখরচায় হৃদয় প্রতিস্থাপন – মমতার স্বাস্থ্যসাথীর কল্যাণেই জীবন বাঁচল নৌশাদের
Tweet: নিখরচায় হৃদয় প্রতিস্থাপন – মমতার স্বাস্থ্যসাথীর কল্যাণেই জীবন বাঁচল নৌশাদের
Mati Utsab