ছাত্র, যুব, শ্রমিক-সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনে কাজ করার ক্ষেত্রে পার্টি সদস্যদের অনীহা রয়েছে। কিন্তু ছাত্র, যুব, মহিলা, কৃষক, শ্রমিক শাখা শক্তিশালী না হলে সিপিএমের ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। তাই পার্টি কর্মীদের মনোভাবে সংকট বেড়েছে আলিমুদ্দিনের। শুধু তাই নয়। শাখা সংগঠনকে সচল রাখতে দক্ষ নেতৃত্বরও প্রয়োজন।মানে দরকার একজন দক্ষ সেনাপতির অর্থাৎ সেই শাখা কমিটির সম্পাদক। আর বঙ্গ সিপিএমে সেই দক্ষ শাখা সম্পাদকেরও অভাব। তাই দক্ষ শাখা সম্পাদক গড়ে তুলতে এবার স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করল তারা।
প্রসঙ্গত, পার্টি ক্ষমতায় নেই, তাই নিচুস্তরে দক্ষ নেতৃত্বের অভাবে ভুগছে সিপিএম। আলিমুদ্দিনের এক নির্দেশিকায় অন্তত সেরকমই স্পষ্ট। পার্টির জেলা কমিটিকে নিচুতলায় দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছে সিপিএম রাজ্য কমিটি। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দক্ষ শাখা সম্পাদক গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা কমিটিকে দুই থেকে পাঁচভাগে ভাগ করে ছ’মাস অন্তর ১ থেকে ২ দিন ব্যাপী কর্মশালা বা প্রশিক্ষণ শিবির করতে হবে। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে এই ধরনের কর্মশালা হবে প্রতিটি জেলায়।
পার্টির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পার্টির সাংগঠনিক ভিত হচ্ছে শাখা। সেই শাখার কার্যধারার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। শক্তিশালী শাখা ও যোগ্য-দক্ষ শাখা সম্পাদক গড়ে তোলার কাজ সমগ্র পার্টির সামনে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাজ। শাখার দুর্বলতা হচ্ছে উচ্চতর কমিটির দুর্বলতা। শুধু তাই নয়, পার্টি সদস্যদের সেভাবে প্রশিক্ষিত করার কাজ জেলা কমিটিগুলি যে করছে না, সেটাও নজরে এসেছে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের।
পার্টির তরফে বলা হয়েছে, সমস্ত পার্টি সদস্যকে ন্যূনতম ছ’টি বিষয়ে প্রশিক্ষিত করার কাজে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি দ্রুত অতিক্রম করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন পার্টি শিক্ষক গড়ে তুলে এই কাজে অগ্রসর হতে হবে। আগামী ডিসেম্বর মধ্যে এই কাজ কতটা বাস্তবায়িত হল, তার মূল্যায়ন করা হবে বলে পার্টি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। যে যে বিষয়ে প্রশিক্ষণে ঘাটতি সেগুলি হল কমিউনিস্ট পার্টি কী ও কেন, মার্কসীয় দর্শন, মার্কসীয় অর্থনীতি, পার্টি কর্মসূচি, সংগঠন ও আরএসএসের বিপদ ও তার মোকাবিলা।