সামনেই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। কিন্তু তার আগে আম আদমি পার্টি(আপ) ও টিডিপি অর্থাৎ তেলেগু দেশম পার্টি— দুই দলের দুই শীর্ষনেতাই নীরব। স্বাভাবিকভাবেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও চন্দ্রবাবু নায়ডুর নীরবতা বিভিন্ন আশা-আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে রাজধানীর রাজনৈতিক অলিন্দে। এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু নাকি বিরোধী জোটের যশবন্ত সিনহা। শেষ পর্যন্ত কার দিকে পাল্লা ঝুঁকবে এই দুই দলের, সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘোষণার পরেই দেশের সিংহভাগ দল দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে। বিরোধী শিবিরে রয়েছে বিজেপি বিরোধী ১৮টি দল। কিন্তু সেখানে ফাটল ধরাতে সর্বশক্তি দিয়ে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সমর্থন আদায় করে নিয়েছে। অভিমান দূরে সরিয়ে আপাতত এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতিশ কুমারও।
আবার দক্ষিণের এআইডিএমকে নেতৃত্বের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দলাদলিতে ব্যস্ত থাকায় প্রকাশ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি তারা। তবে তাঁদের পাল্লা দ্রৌপদী মুর্মু দিকেই ঝুঁকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সাধারণত রাজ্যে তাঁদের প্রধান শত্রু ডিএমকে যে মেরুতে থাকে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার দল তার বিপরীত মেরুতেই অবস্থান করে। এক্ষেত্রে পানিরসেলভমদের সিদ্ধান্ত কী হবে তা সহজেই ধরা যায়।
কিন্তু, কেজরিওয়াল ও চন্দ্রবাবু— দু’জনেই অদ্ভুতভাবে নিশ্চুপ। এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেননি। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কেজরিওয়াল বিজেপি বিরোধী শিবিরে অবস্থান করবেন। কিন্তু বিরোধীদের দু’টি বৈঠকেই অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। পাঠাননি কোনও প্রতিনিধি। আবার শুক্রবার দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়নে তাঁকে সমর্থনকারী অধিকাংশ দল হাজির থাকলেও সেখানেও গরহাজির আপ নেতৃত্ব। ফলে বিবাদমান দু’পক্ষকেই ধোঁয়াশায় রেখেছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, চন্দ্রবাবু নায়ডুও অবস্থান স্পষ্ট করেননি।