তাঁকে বারংবার ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। আর তারপরেই শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
জয়ন্ত বেরা নামে এক সারদা এজেন্ট সুদীপ্ত সেন-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাওড়ার সাঁতরাগাছি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলার শুনানিতে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন সারদাকর্তা। সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বোমা ফাটিয়ে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে কবে, কোথায়, কত টাকা দিয়েছেন তা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই গিয়েছিলাম। ব্ল্যাকমেল করে অনেক টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু।’
শুধু আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক দাবি নয়, এর আগে জেল থেকে চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট এবং কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দু’টি চিঠিও দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে, কত টাকা আদায় করেছেন, তা বিস্তারিতভাবে দ্বিতীয় চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন।
সারদাকর্তার এ হেন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবি তুলে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন সুদীপ্ত সেন। কেন শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হবে না? কেন হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা হবে না?’
বিজেপির বিরুদ্ধে আরও একবার সিবিআই ও ইডিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। কুণাল ঘোষের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। তা হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জেরা করা হত। তাঁদের দাবির প্রমাণস্বরূপ সাংবাদিকদের সামনে সুদীপ্ত সেনের সার্টিফায়েড চিঠিও তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।