একুশে জুলাইয়ের নাম করে কোনওভাবেই তোলা যাবে না চাঁদা। এই নির্দেশ অমান্য করলেই দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে গত কয়েকদিন আগেই দলীয় কর্মীদের এই বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনওভাবেই যাতে চাঁদা নিয়ে ‘জুলুমবাজি’ না হয় সেদিকে অত্যন্ত সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ থেকেও যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দেন সেদিকেও তৃণমূলের তরফে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। আর সেই কারণেই ১২ জুলাই কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে সেখানে যাচ্ছেন অভিষেক। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে যাবেন তিনি। সেখানে তিনি কর্মীসভাও করবেন বলে জানা গিয়েছে।
এই বছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল গত কয়েকদিন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ২৪-এর বিধানসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সারাবছর দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজের রূপরেখা স্থির করে দিতে পারেন নেত্রী। আর তার আগে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিতে ১২ জুলাই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন অভিষেক। সেখানে দলীয় কর্মীদের কী বার্তা দেন তিনি সেটাই এখন দেখার।
এর আগে জুনের শুরুতেই তিনদিনের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে প্রথমে আলিপুরদুয়ারে যান তিনি। কর্মিসভা ও একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি জলপাইগুড়িতেও সভা করেন তিনি। রাজ্য ভাগের বিরুদ্ধে মানুষকে এক হওয়ার বার্তা দেন। আলিপুরদুয়ারের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের মানুষকে বলব আমরা সবাই এক। কোনওভাবেই বাংলা ভাগ হতে দেব না। আমি রক্ত দেওয়ার জন্য তৈরি। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,পঞ্চানন বর্মাকে ভাগ করতে পারবেন? কিছু নেতার কাজকর্ম নেই আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে উত্তরবঙ্গকে ভাগ না করলে আমাকে মেরে দেবে। আমি বলি তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও। এতবড় ক্ষমতা তোমাদের’?