আসামে ভয়াবহ বন্যা। বানভাসি ৩২ জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লক্ষ। কিন্তু ত্রাণ কোথায়? দুর্বিসহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন শিলচরের বাসিন্দা সারস্বত মজুমদার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আসামে বৃষ্টি থামবে কবে? আবহাওয়া দফতর আশার কথা শোনাতে পারেনি এখনও। বরং ফের ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসই দেওয়া হয়েছে। বন্যা দুর্গাতদের জন্য রাজ্যজুড়ে ৮৪৫টি ত্রাণশিবির খুলেছে প্রশাসন। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ লক্ষ মানুষ। জল যেন কিছুতেই নামতে চাইছে না! পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ শিলচর ও বারাক উপত্যকায়। সেনা নামানো হয়েছে সেখানে।
শহরবাসীর কী অবস্থা? কীভাবে দিন কাটছে তাঁদের? প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সারস্বত মজুমদার। জানালেন, ‘৫-৬ দিন হয়ে গিয়েছে, কারেন্ট নেই। জলের ব্যবস্থা নেই। ঠিকমতো ত্রাণও পৌঁছাচ্ছে না’। কেন? অভিযোগ করলেন, ‘১ লিটার পানীয় জলে কি একটি পরিবারের চলে? ত্রাণের তো একটা নিয়ম আছে। একটি লিটার জল দিয়ে হবে না। একটা পরিবার কী করে চলবে। জিনিসের প্রচুর দাম। ২ লিটার জলের বোতলে দাম পড়ছে ৬০-৭০ টাকা। ২০ লিটার জল আনতে গেলে পড়ে যাচ্ছে ৫০০-১০০০ টাকা’।
আর উদ্ধারকাজ? সারস্বত মজুমদারের দাবি, ‘এনডিআরএফ-এর যে টিম পাঠানো হয়েছে, তাঁদের কাছে হয়তো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। জলে কারেন্টের কারণে বোট নিয়ে পার হতে পারছে না। কাঠের নৌকা ভাড়া করে উদ্ধার কাজ করতে হচ্ছে’। বন্যায় শিলচরের সঙ্গে আসামের বাকি অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মেঘালয় দিয়ে সড়কপথে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া চেষ্টা করছে প্রশাসন। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বায়ুসেনারও’।