মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল রীতিমতো সরগরম। চড়ছে পারদ। শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি সরকারের পতন ঘনিয়ে এসেছে, এমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ অগাড়ি পতন কেবল সময়ের অপেক্ষামাত্র। শিন্দেই ঘুম উড়িয়েছেন ঠাকরেদের। আসাম থেকেই মহারাষ্ট্র সরকার ফেলার ছক কষছেন শিন্দে। বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্দের দাবি, তার সঙ্গে ৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। যদিও শিন্দে শিবির দাবি ৪২ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে আছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরের ডাকা মুম্বইয়ে বৈঠকে মাত্র ১৩ জন বিধায়ক হাজির হয়েছেন। যার জেরেই সংকটে উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রী পদ।
তবে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মতে, আস্থাভোটই ঠিক করে দেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কার সঙ্গে রয়েছে। পওয়ারের এই কথায় নতুন করে হালে পানি পেয়েছে শিবসেনা। বহু যুদ্ধের নায়ক দেশের পোড়খাওয়া দুদে রাজনীতিক পওয়ার কিন্তু শিবসেনা সরকার তৈরির সময় থেকেই খেলা দেখিয়ে আসছেন। প্রসঙ্গত, বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের প্রথমে গুজরাত এবং পরে অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এই দুই রাজ্যই বিজেপিশাসিত। ছবি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, শেষ মুহূর্তে পাওয়ার কি রুখে দিতে পারবেন সরকারের অকালপতন? শিন্দের মন্তব্যে নতুন ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, একটি জাতীয় দল তাদের এই বিদ্রোহকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে তার ওই দল তাদের সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বলাইবাহুল্য জাতীয় দলটি হল বিজেপি। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ দিল্লী পৌঁছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সারছেন। তবে কি ফের মসনদে বসবে বিজেপি, নাকি শেষ মুহূর্তে মাঠে নামবেন পাওয়ার, আগামী কয়েকদিনেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।