ঘিঞ্জি জনবহুল এলাকা কলকাতা। সেখানে প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শহরের বহুতলে আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়। শুক্রবার বিধানসভায় পাস হল দমকল সংক্রান্ত নয়া বিল। ফায়ার অডিট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিধায়করা। সে ক্ষেত্রে দমকলের ভূমিকা কী হবে, সেই সংক্রান্ত বিল আগেও ছিল। এবার পাস হল সংশোধনী বিল। বিলের সংশোধনীতে বহুতলের উচ্চতা সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। অর্থাৎ বিল্ডিং কতটা উঁচু হলে, তা দমকল বহুতল হিসেবে চিহ্নিত করবে, তা নিয়েই এই বিল। এই বিষয়ে কলকাতা পুর নিগমের সঙ্গে কিছু সমস্যা হচ্ছিল বলেই এই সংশোধনী আনা হল বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। শুক্রবার যে বিল পাস হল, সেই বিল অনুযায়ী কলকাতার ক্ষেত্রে অর্থাৎ পুর নিগমের অধীন এলাকায় ১৪.৫ মিটার উঁচু বিল্ডিংকেই বহুতল হিসেবে চিহ্নিত করা হবে আর রাজ্যের অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ১৫.৫ মিটার হলে বহুতল হিসেবে চিহ্নিত করবে দমকল। এই প্রসঙ্গে দমকল মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে পরিবর্তন আনার জন্য অনেক দিন ধরেই আবেদন জানিয়েছিল কলকাতা পুরনিগম।
পরে পুরনিগমের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই অনুসারেই এবার সংশোধনী বিল আনা হল বিধানসভায়। শুক্রবার এই বিল সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেপি দাবি করে, রাজ্যে ফায়ার অডিট যেন সঠিক পদ্ধতিতে করা হয়। এ দিন দমকল মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কলকাতায় ১৪৬৪ টি বিল্ডিং ফায়ার অডিটের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৫৬৮টির অডিট শেষ। টাস্কফোর্স খতিয়ে দেখে এসেছে। তিনি আরও জানান, তোপসিয়া এবং ট্যাংরায় গোডাউনে আগুন লাগার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন অডিট করার জন্য। তারপর সেই নির্দেশের পর কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা, দমকল, সিইএসই যৌথভাবে বৈঠক করে। সেখানেই ১,৪৬৪টি জায়গা আগুনের জন্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিধায়কদের দাবি, অনেক সময় পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, লাল পাইপ থেকে জল বেরচ্ছে না, কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিল্ডিং এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ দাবি করেন, তিনি চোখের সামনে এমনটা হতে দেখেছেন। এ ভাবে অডিট না করে যাতে সঠিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়, সেটা দেখতে বলেছেন বিরোধীরা।