প্রথমে গুজরাতের সুরাত। আর তারপর সেখান থেকে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামের গুয়াহাটিতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন তাঁরা। তবে এভাবে রাজ্যের বাইরে হাত গুটিয়ে বসে থেকে কাজের কাজ হচ্ছিল না। তাই অবশেষে মুম্বইয়ের পথে রওনা হয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কেরা। গুয়াহাটি ছাড়ার আগে বিদ্রোহী শিবিরের নেতা একনাথ শিন্ডে শিবসেনার ৩৭ জন বিধায়কের নামের তালিকা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারামকে মেল করেছেন। পাশাপাশি, উদ্ধব শিবিরের প্রস্তাব মেনে বিধায়ক অজয় চৌধুরীকে শিবসেনার পরিষদীয় নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছেন ডেপুটি স্পিকার।
উল্লেখযোগ্য হল, দলত্যাগ বিরোধী আইনের ফাঁস থেকে বাঁচতে শিবসেনার বিদ্রোহী শিবিরের ৩৭ জন বিধায়কই প্রয়োজন। এদিকে, উদ্ধব ঠাকরের হয়ে আজ একটু আগে শিবসেনার প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত ঘোষণা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমরা ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব।
জানা যাচ্ছে, একনাথের সঙ্গে থাকা বিধায়করা আর গুয়াহাটিতে থাকতে চাইছেন না। খরচ তো আছেই, তাছাড়া দু হাজার মাইল দূরের হোটেলে বসে থেকে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। বরং তাঁরাও মনে করছেন, যা করার মুম্বই পৌঁছে করতে হবে।
আরও একটি বিষয় আছে। এখনও পর্যন্ত বিকল্প সরকার গড়ার বিষয়ে কোনও কথা এগোয়নি। বিজেপির মধ্যে দুটি মত। একদল চায় দল শিন্ডের শিবসেনাকে নিয়ে সরকার গড়ুক। আর একটি মত, দল শিন্ডেকে সরকার গড়তে সমর্থন দিক। কিন্তু বিজেপির লক্ষ্য শুধু মহারাষ্ট্রে সরকার গড়াই নয়, তারা চায় শিবসেনার উদ্ধবের কবল মুক্ত করা। শিবসেনার রাশ উদ্ধবের হাত থেকে চলে গেলে তখন বাল ঠাকরের দলকে বিজেপি নিজেদের মতো করে চালিত করতে পারবে।
সব মিলিয়ে একনাথরা মুম্বই পৌঁছনোর পর পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে এখনই বলা সম্ভব নয়।