বিজেপি ইসলাম এবং দলিত বিরোধী। বারবারই এই অভিযোগ উঠেছে। মোদী জমানায় শোচনীয় হাল দেশের মুসলিম এবং দলিতদের। কিন্তু বিরোধীদের ‘ধর্ম সংকটে’ ফেলে দিতে তা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলিত প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। আর মোদীর এই চালেই চাপে পড়েছেন আঞ্চলিক দলের নেতারা। এছাড়া রয়েছে, অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরির আশঙ্কা এবং এজেন্সির ভয়ও। তাই বিজেপির দলিত প্রার্থীকেই সমর্থন দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। বুধবারই বিহার, উড়িষ্যা ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রকাশ্যে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবেন বলে ঘোষণা করেন। পিছিয়ে পড়ছেন বুঝে আরও একধাপ এগিয়ে এনডিএ পদপ্রার্থীর মনোনয়নে তাঁদের বিধায়ক ও সাংসদরা স্বাক্ষরও করেন।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী হায়দ্রাবাদে গেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। পিছিয়ে নেই এআইডিএমকে। দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন তামিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভমরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরির আশঙ্কা থেকেই ‘ভাল ছেলে’ হওয়ার দৌড় বলে মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে সমস্যায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার চলছে। কয়েকদিন আগেও রাজ্যসভার একটি আসন নিয়ে দফায় দফায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই তিনিই আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যে আদিবাসী ভোটের অঙ্কেই হেমন্তের দু’রকমের অবস্থান বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পিছিয়ে নেই পাশের দুই রাজ্য বিহার ও উড়িষ্যা। যেমন প্রধানমন্ত্রীর এক ফোনে সব অভিমান ভুলে দ্রৌপদীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক শুধু সমর্থন করেই বসে থাকেননি। রাজ্যের অন্য দলের বিধায়ক ও সাংসদদের কাছে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থনের আবেদনের পাশাপাশি এনডিএ প্রার্থীর মনোনয়নে দলের সাংসদ ও বিধায়কদেরও স্বাক্ষর করার নির্দেশ দেন। দক্ষিণের দুই দল তামিলনাড়ুর এআইডিএমকে ও অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরাসরি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবে বলে জানালেও আরেক দল টিআরএস অবস্থান এখনও স্পষ্ট করেনি।