বুধবার রাজ্য বিধানসভায় পাশ হল নতুন বিল। রাজ্য সরকারের এই নয়া পদক্ষেপের সুবাদে সামান্য টেস্ট থেকে জেনারেল ফিজিশিয়ান দেখানোর পথ সহজতর হল সাধারণ মানুষের জন্য। এখন থেকে পলি ক্লিনিক, ডায়গোনস্টিক সেন্টার কিংবা বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র অর্থাৎ যে কোনওরকম ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টের রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্স দিতে পারবেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকই। এই পদক্ষেপের ফলে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টের রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে লাল ফিতের ফাঁস আলগা হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত, এদিন ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইনের সংশোধনী বিল পেশ হয় বিধানসভায়। বিলটি পেশ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ভোটাভুটিতে পাশও হয়ে যায় বিলটি। মন্ত্রী বলেন, “২০১৭ সালে এই আইন আনা হয়েছিল। মানুষ যাতে আরও ভাল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট পেতে পারে তাই এই সংশোধনী।” উল্লেখ্য, এতদিন শুধুমাত্র রাজস্ব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টের লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশনের ছাড়পত্র দিতে পারতেন। এবার সেই ক্ষমতা পেলেন স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও। এর ফলে প্রভূত সুবিধা হবে। কারণ রাজ্যে রাজস্ব জেলার (২৩) চেয়ে স্বাস্থ্য জেলার সংখ্যা (২৮) বেশি। এর জেরে পাড়ায়-পাড়ায় আরও বেশি সংখ্যায় পলি ক্লিনিক বা ডায়গোনস্টিক সেন্টার গড়া যাবে। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read: একের পর এক বুথে মেশিন খারাপ, অবাধে চলছে ছাপ্পা – ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘দেখছি, দেখছি’
Tweet: একের পর এক বুথে মেশিন খারাপ, অবাধে চলছে ছাপ্পা – ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘দেখছি, দেখছি’
Assembly