আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির সর্বসম্মত প্রার্থী হচ্ছেন যশবন্ত সিনহা। গত কয়েকদিন ধরে শরদ পওয়ার, ফারুক আবদুল্লা, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীদের নাম উঠে এলেও, শেষ পর্যন্ত সিলমোহর পড়েছে যশবন্ত সিনহার নামেই। তবে, যশবন্ত সিনহার এই মনোনয়ন প্রাপ্তি আদতে বিরোধী রাজনীতির ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই জয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিনের পর, ২০২৪ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বদানের প্রশ্নে, মমতা অনেকটাই এগিয়ে গেলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
যশবন্ত সিনহার প্রথম পরিচয় অবশ্যই বিজেপি নেতার। তবে, দলে মোদী-শাহের কর্তৃত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাঁর। প্রকাশ্যেই মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করা শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়েন। ২০২১ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন রাজ্যের একের পর এক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে পাড়ি দিচ্ছিলেন, সেই সময়ই তৃণমূল দলে যোগ দেন যশবন্ত।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন তিনি। কাজেই এই প্রথম কোনও তৃণমূল নেতা দেশের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হলেন। এর আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতাই এতবড় জাতীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হননি।
বিশেষ করে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী ঐক্য গঠনের উদ্যোগ প্রথম নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ২২টি বিরোধী দলের নেতাদের চিঠি দিয়ে বৈঠকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী স্থির করার জন্য নয়া দিল্লির সংবিধান ক্লাবে, মমতার নেতৃত্বে মিলিত হয়েছিলেন ১৭টি দলের নেতারা। যশবন্ত সিনহার এই মনোনয়ন, অন্যান্য বিরোধী দলের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস দলের গ্রহণযোগ্যতারও পরিচয় বলে মনে করা হচ্ছে।
Read: যোগী রাজ্যে ফের দলিত নিগ্রহ – মুখে থুতু ছিটিয়ে মারধর ডেলিভারি বয়কে
Tweet: যোগী রাজ্যে ফের দলিত নিগ্রহ – মুখে থুতু ছিটিয়ে মারধর ডেলিভারি বয়কে
President Election