গোটা দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অগ্নিপথ বিক্ষোভের জেরে আগুন জ্বলছে। বাংলাতেও তার প্রভাব পড়েছে। বহু সমস্যায় পড়ছে সাধারণ মানুষ। সেই অগ্নিপথ বিক্ষোভের জেরে ট্রেন বাতিলের রেশ চলেছে সোমবারও। তবে এদিন পূর্ব রেলের ১২টি ট্রেন বাতিল ও ১১টি দূরপাল্লার সময়ের পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, বাতিলের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে। রবিবার বাতিল ছিল ২৭টি ট্রেন। গত শুক্রবার বাতিল ছিল ৩২টি, শনিবার ২৯টি। পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিকতার দিকে বলে রেলের দাবি। এদিকে বেশ কয়েকটি ট্রেন একেবারে প্রথম দিন থেকে বাতিলে সেই ট্রেনের যাত্রীদের দুর্দশা চরমে। মোকামা প্যাসেঞ্জার প্রথম থেকেই বাতিলে বহু সাধারণ যাত্রী পড়ে রয়েছেন হাওড়া স্টেশনে। তাদের পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত সংকটজনক। পয়সায় টানও পড়েছে। সোমবার এইসব প্রায় সাড়ে চারশো যাত্রীকে হাওড়া স্টেশনে খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা করে জিআরপি। তবে মাঝপথ থেকে ফিরে আসা ট্রেনের যাত্রীদের দুর্দশা এখন অবর্ণনীয়। প্রথমত, তাঁরা বহুদিন আগে ট্রেনে টিকিট কেটে যাত্রা করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ত, যাঁরা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা এখন টাকা ফেরত পাবেন কী করে তাই বুঝতে পারছেন না। যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে আপ পূর্বা ও লালকুঁয়া এক্সপ্রেসকে বর্ধমান থেকে যাত্রা বাতিল করে হাওড়া ঘুরিয়ে আনা হয়। বিপদের আশঙ্কায় যাত্রীরা সে যাত্রায় পরিস্থিতি মেনে নিয়ে ফিরে আসেন। তবে সেই ট্রেনের যাত্রীরা টিকিট রিফান্ডের ক্ষেত্রে বড় অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। কাউন্টার থেকে যাঁরা অফ লাইনে টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই হাওড়া কাউন্টার থেকে টিকিট জমা করে টিকিট ডিপোজিট রিসিট নেন। এই রিপোর্ট সিসিএমের (ক্লেম) কাছে জমা দিয়ে তাঁরা টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন। তবে যাঁরা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন, তাঁদের দুরবস্থা এখন এতটাই যে, এই ধরনের টিডিআর তাঁরা পাচ্ছেন না, এমনকী, কোথায় পাবেন, তাও জানতে পারছেন না রেলের কাছ থেকে। অনলাইনে টিকিট কাটা যাত্রীদের সংখ্যা এখন আশি শতাংশের মতো।