আগামী মরসুমের দল গঠন নিয়ে এখনও পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই লাল-হলুদ শিবির। নতুন বিনিয়োগকারী হিসাবে ইমামি আসার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। কিছু ফুটবলারকে সই করানো হলেও কোনও নামী ফুটবলার এখনও লাল-হলুদে আসেননি। এই পরিস্থিতিতে ক্লাবের ভবিষ্যৎ কী হবে, তাঁরা আদৌ আইএসএলে খেলতে পারবে কি না, তা জানতে চেয়ে ক্লাবের সচিবকে কড়া চিঠি পাঠালেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। ইমামির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে ক্লাবে এই মুহূর্তে কী পরিস্থিতি, সেটাও জানতে চেয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়েছেন, শক্তিশালী দল গড়ে ব্যর্থ হলে জোর করে আইএসএলে খেলে ক্লাবের ইতিহাস কালিমালিপ্ত না করতে। ক্লাব সচিবকে পাঠানো চিঠিতে প্রশান্ত, কৃষ্ণেন্দু, নবি ছাড়াও সই রয়েছে মিহির বসু, অলোক মুখোপাধ্যায়, সুমিত মুখোপাধ্যায় এবং বিকাশ পাঁজির। প্রত্যেকেই সে দিনের সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন। “গত ৯ই জুন থেকে ট্রান্সফার উইন্ডো খুলেছে। আইএসএলের সব ক্লাব যেখানে ফুটবলারদের সই করাতে ব্যস্ত, সেখানে ইস্টবেঙ্গল চুপচাপ। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে আইএসএল খেলার মতো ফুটবলার পাওয়া অসম্ভব। তা হলে এ বারেও কি গত বারের পুনরাবৃত্তি হবে?” ক্লাবকে চিঠি পাঠিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
পাশাপাশি উক্ত চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “আইএসএলের উপযুক্ত দল তৈরি করতে পারলে তবেই সেখানে দল নামান। না হলে লোকদেখানো দল নামিয়ে ক্লাবের ইতিহাসকে আর কালিমালিপ্ত করবেন না। দরকারে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ, আইএফএ শিল্ডে খেলুন। এ ভাবে আইএসএলে খেলবেন না। আইএসএলকে আইএসএলের মতো করেই খেলুন।” প্রসঙ্গত, শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক বৈঠক করে কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছিলেন, আসন্ন মরসুমের জন্য ফুটবলার বাছাই করতে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রাক্তন ফুটবলারদের। দেবব্রতের কথা শুনে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায়, সৈয়দ রহিম নবির মতো প্রাক্তনরা ফুটবলার বাছাই করে নামের একটা তালিকা ক্লাবের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সেখানে আই লিগ এবং সন্তোষ ট্রফি থেকে বাছাই করা ফুটবলাররা ছিলেন। সেই ফুটবলারদের সই করানোর ব্যাপারে কী হল, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।