ত্রিপুরায় নয়া দলীয় কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস । একটা সময় দলীয় কার্যালয় থাকলেও তার ব্যবহার খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে দলের বহর। সংখ্যায় প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে দলীয় কর্মী। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিন কলকাতা থেকে ত্রিপুরা গিয়ে থাকছেন একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
ইতিমধ্যেই একাধিক বার সফর করে ফেলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গিয়েছেন সুস্মিতা দেব, সৌগত রায়, সুখেন্দু শেখর রায়, শত্রুঘ্ন সিনহা -সহ একাধিক সাংসদ। ফলে সংগঠন গড়ে তুলতে প্রয়োজন একটি বাড়ি বা দলীয় কার্যালয়। সেটি চিন্তা করেই এই দলীয় কার্যালয় দ্রুত তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামী মাসের শুরুতেই সেই দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ভোট মিটলেই আমি এসে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করব।
ইতিমধ্যেই দলীয় কার্যালয়ের প্রস্তাব দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে। আগরতলা শহরের এক পাঁচ তলা হোটেলে গিয়ে উঠতেন তৃণমূল নেতারা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি হোটেলেও পালা করে থাকা শুরু করেছিলেন তারা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে তাদের হোটেলে থাকতে দেওয়া হচ্ছিল না প্রথমে। এমনকী, ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনাতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে হেনস্থার শিকার হতে হয় সায়নী ঘোষ , ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়দের। এই হোটেলেই অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, নয় সাংসদ, কুণাল ঘোষ-সহ অনেকেই। আপাতত আগরতলায় একটি হোটেলে বিভিন্ন সাংগঠনিক বৈঠক করা হয়েছে। তবে দলীয় আলোচনার জন্যে এই সব হোটেল যে যথাযথ নয় তা মেনে নিচ্ছেন নেতারা। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে দলীয় কার্যালয় গঠনের।
বনমালীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিকের বাড়িতে একটা অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হয়েছে।সেখানে প্রায় প্রতিদিন যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। তবে কোনও নেতার বাড়িতে থেকে দলীয় কাজ যথাযথ নয় বলেই অনেক নেতা মনে করছেন। আবার ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে জেলার একাধিক অফিসে কর্মী যোগ দিচ্ছে সেখানের কোনও একটা বাড়িতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ভাবে কোনও কার্যালয় না থাকলে অসুবিধা। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে সেটি গঠন করার।