মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল বীরভূমের পাড়ুই। বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন একই পরিবারের তিনজন (বাবা-মা ও ছেলে)। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাড়ুই থানার মহুলা গ্রামে৷ ইতিমধ্যেই দেহগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মৃতদের কাছ থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট৷ যার ভিত্তিতে মৃত্যু রহস্যের কিনারা করার চেষ্টায় পুলিশ। স্বামী-স্ত্রী ও তাদের বছর ছয়ের ছেলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে পারিবারিক অশান্তি না অন্য কিছু, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পাড়ুই থানার মহুলা গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত পাত্র। ছেলে দীপ পাত্রের সঙ্গে মনোমালিন্য ও অশান্তি বেঁধেছিল তাঁর। তারপরই মঙ্গলবার বেলা হয়ে গেলেও পাত্র দম্পতি ও তাঁদের ছেলে, কারও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। তাতেই সন্দেহ হয়। ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ডাকাডাকি করে। এরপরই ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রশান্ত পাত্র, তাঁর স্ত্রী তৃপ্তি পাত্র ও ছেলে দীপের দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করেছে দেহ। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। সেখানে ৭ জনের নাম রয়েছে বলে খবর। ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার দাদা কাশীনাথ ঘোষের দাবি, বিষ খাওয়ার পর তাঁর বোন অর্থাৎ তৃপ্তিদেবী ফোন করেছিলেন তাঁকে। পারিবারিক অশান্তির কথা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি কোথায় সুইসাইড নোট রাখা রয়েছে তাও বলেন। বধূর বাপের বাড়ির লোকেরা জানান, প্রায়দিনই তৃপ্তির সঙ্গে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অশান্তি হত। তাঁরা অনেকবার মেটানোর চেষ্টা করেছেন কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের দাবি, অশান্তির কারণেই বিষ খেয়েছে ওই তিনজন৷ সেকথা নাকি নিজেই জানিয়েছেন তৃপ্তি। ইতিমধ্যেই দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। তদন্তের স্বার্থে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এমনটাই