আর বেশি দেরি নেই। সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তবে এই ভোট নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে পদ্মশিবিরের অস্বস্তি। দেশের সাংবিধানিক প্রধানের নির্বাচন ঘিরে চাপ বাড়ছে বিজেপির। চিন্তা বাড়াচ্ছে ৩ শতাংশ ভোট ঘাটতি। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে রাইসিনায় পৌঁছে দিতে বিজেপির এখনও ২.৯৭ শতাংশ ভোট কম পড়ছে। পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে গোপন ভোট। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দল কোন বিশেষ কাউকে ভোট দেওয়ার জন্য জোর করতে পারে না। অর্থাৎ দল জনপ্রতিনিধিদের হুইপ দিতে পারে না। ভোট হয় প্রেফারেন্সের ভিত্তিতে। যেহেতু, প্রেফারেন্স ভোটের ব্যবস্থাসম্পন্ন ইভিএম এখনও তৈরি হয়নি, তাই এবারেও পেপার ব্যালটেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। ফলে বিক্ষুব্ধদের ভোট কোনদিকে পড়ে তাঁর নিয়ে দুশ্চিন্তায় গেরুয়াশিবির। রাষ্ট্রপতি ভোটের পেপার ব্যালটে দুটি কলাম থাকে, যার একটিতে প্রার্থীর নাম, অন্যটিকে নামের পাশে একটি চৌকো বাক্স থাকে। উপরে লেখা থাকে ‘অর্ডার অব প্রেফারেন্স’। পছন্দ অনুযায়ী, সেখানেই ভোটদাতাকে সংখ্যা লিখতে হয়। বিজেপির বেসুরো নেতারা তো আছেনই, সেই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ মানেকা গান্ধী, বরুণ গান্ধী, মন্ত্রিসভা থেকে হঠাৎ করে বাদ পড়া রবিশঙ্কর প্রসাদ, প্রকাশ জাভরেকর, জয়ন্ত সিনহার মতো বিজেপির হেভিওয়েট সাংসদরা কী করবেন তা নিয়ে সংশয়ে দল। সুযোগ বুঝে তারা কি ক্ষোভ মিটাবেন না? এই প্রশ্নই তিষ্ঠোতে দিচ্ছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাষ্ট্রপতি ভোটের অঙ্ক কষতে রবিবার দলের ১৪ জন সদস্যকে নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি সভাপতি নাড্ডা। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সর্বসম্মত প্রার্থীর উদ্যোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অখিলেশ যাদব, নবীন পট্টনায়ক প্রমুখ বিজেপি বিরোধী নেতানেত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি বলেই খবর। অন্যদিকে বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এগোচ্ছেন। মমতার ডাকে একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছে। আবার ২১শে জুন বৈঠক ডেকেছেন শরদ পাওয়ার। নির্ধারিত দিনে সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে দুপুর আড়াইটায় বৈঠক হবে। যদিও বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না, বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থাকতে পারেন বলে খবর। কোন প্রকারে বিজেপিকে জমি ছাড়তে নারাজ বিরোধীরা। ফারুক আব্দুল্লা ও শরদ পাওয়া প্রার্থী হতে রাজি না হাওয়ায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবিত গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে রাজি করানোই এখন অ-বিজেপি শক্তিগুলির প্রধান লক্ষ্য। রাজনৈতিক মহলের সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।