অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কটাক্ষ, ভোটের সময় সেনা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিজেপি৷ এখন সামনে ভোট নেই বলেই অগ্নিপথের মতো প্রকল্প নিয়ে এসে সেনাদের উদ্দেশে অপমানজনক কথা বলছেন বিজেপি নেতারা৷
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় মন্তব্য করেন, অগ্নিপথ প্রকল্পে যাঁরা চার বছর চাকরি করবেন, তাঁদের ভবিষ্যতে বিজেপি অফিসে দারোয়ান পদে চাকরির জন্যও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ এ দিন সেই মন্তব্যেরও কড়া নিন্দা করে কৈলাসকে বিজেপি থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন অভিষেক৷ তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডিও অগ্নিবীরদের নিয়ে একই ধরনের অপমানজনক কথা বলেছেন৷
অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক এবং বিক্ষোভ ছড়ালেও এতদিন বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের কোনও শীর্ষ স্থানীয় নেতা কোনও বিবৃতি দেননি৷ দলের তরফে সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷
অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে মুখ খুলে এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় বলেন, ‘এটা মোদি সরকারের ট্র্যাডিশন৷ নোটবন্দির সময় পরিকল্পনা ছিল না৷ যাঁরা এই প্রকল্পে উপকৃত হবে তাদের কথা ভাবা হয়নি৷ সিএএ, কৃষক আইন, নোটবন্দি- সব ক্ষেত্রে এক৷ দু দিন অন্তর বিধিতে বদল৷’ অভিষেক আরও বলেন, ‘সেনা, আধা সেনার ছবির আড়ালে গিয়ে নির্বাচনে লড়েন৷ আর পরে বলে অগ্নিবীররা চার বছর পর বিজেপি-র পার্টি অফিসে দাড়োয়ানের কাজ করবে৷ এর থেকে নিন্দার, লজ্জার কী হতে পারে? ‘
কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এই মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেন অভিষেক৷ তৃণমূল সাংসদের পাল্টা কটাক্ষ, ‘বিজেপি নেতার ছেলে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হবে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে এমএলএ হয়ে ব্যাট দিয়ে পুলিশ দিয়ে মারবে৷ আর সাধারণ, গরিব খেটে খাওয়া মানুষ দাড়োয়ান হবে? এদের আসল উদ্দেশ্য এটাই৷ কৈলাস মুখ ফস্কে বলে ফেলেছেন৷ যাঁরা সেনা নিয়ে এ রকম মন্তব্য করে তাঁদের ঝেঁটিেয় বিদায় করা উচিত৷’