অগ্নিপথ প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আর তারই প্রতিবাদে উত্তাল প্রায় গোটা দেশ। মোদী সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক সেনা’ নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্রমশই বিক্ষোভ দানা বাঁধছে রাজ্যে রাজ্যে। আর তার জেরে ইতিমধ্যেই প্রকল্পে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে বিজেপি নেতাদের একের পর এক মন্তব্যে প্রতিবাদী আন্দোলকারীদের ক্ষোভ বাড়ছে বলে অভিযোগে সোচ্চার বিরোধীরা। এই নিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বিতর্কিত মন্তব্য নতুন করে ঘি দিয়েছে অগ্নিপথের আগুনে।
‘অগ্নিপথ’-এর বিরুদ্ধে যখন আন্দোলনে নেমেছে আসমুদ্র হিমাচল ঠিক তখনই এই নিয়ে একের পর এক বিভ্রান্তকারী মন্তব্য করে চলেছেন নেতা-মন্ত্রীরা এমনটাই অভিযোগ তোলা হয়েছে বিরোধী শিবির থেকে। দিন দু’য়েক আগে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, অগ্নিবীরদের নাপিত, ইলেকট্রিসিয়ান, চালকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁর দাবি, এরফলে চার বছর পর স্বনির্ভর হতে পারবেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। তারমধ্যেই বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলে বসেন, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের চার বছর পর তাঁদের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীর কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তাঁদের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে। নেটিজেনদের মন্তব্য, আসলে অগ্নিবীরদের নিয়ে এমনই পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের। বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে লেখেন, ‘যাঁরা স্বাধীনতার ৫২ বছর ধরে তেরঙ্গা উত্তোলন করেননি তাদের কাছে সেনাদের সম্মান দেওয়া আশা করা যায় না। দেশের যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার উদ্যম রয়েছে, নিরাপত্তারক্ষী হয়ে বিজেপি অফিস রক্ষা করার জন্য নয়, দেশকে রক্ষা করার জন্য সেই উদ্যম।’ একইসঙ্গে রাহুল যোগ করেন, বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা এই অপমানের ওপর সিলমোহর লাগিয়েছে।