অগ্নিপথ প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আর তারই প্রতিবাদে উত্তাল প্রায় গোটা দেশ। মোদী সরকারের ‘চুক্তিভিত্তিক সেনা’ নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্রমশই বিক্ষোভ দানা বাঁধছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে একাধিক রাজ্যে। অনেক রাজ্যেই ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত। দিল্লী ও আশপাশের এলাকায় একাধিক রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের অবরোধে যান চলাচল বন্ধ। কিন্তু মমতা সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতার জেরে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই স্বাভাবিক বাংলা।
প্রসঙ্গত, রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পৌনে দুশো মেল, এক্সপ্রেস মাঝপথে আটকে আছে। সবও মিলিয়ে পাঁচশোর কাছাকাছি ট্রেনের চলাচল থমকে আছে।
তামিলনাড়ুতে রাজ্য প্রশাসনের অনুরোধে রেল বড় স্টেশন গুলিতে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটে স্টেশনে ঢুকে ভাঙচুর করেছে, গত কয়েকদিনের ঘটনায় জানতে পেয়েছে রাজ্য পুলিশ।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আগেই রাজ্যগুলিকে অগ্নিপথ বিক্ষোভ নিয়ে সতর্ক করেছে। কয়েক ঘন্টার নোটিসে কয়েকটি ছোট ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে ভারত বনধে যে ভাবে দেশের বেশ কিছু এলাকা অচল হয়ে পড়েছে তাতে আগামী দিনে এই ইস্যুতে আশ্রম বড় আন্দোলনের আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও কংগ্রেস সহ বেশ কিছু দল বনধ সমর্থন করেছে।
আজ বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বাতিল হয়েছে পরীক্ষা। বিহারে বহু টেন বাতিল হয়েছে। তবে মমতার বাংলার অবস্থা একেবারেই স্বাভাবিক।