ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে দুর্যোগ। বিপদে সাধারণ মানুষ। উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। অসম ও মেঘালয়ে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। নতুন করে অন্তত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রে। এখনও পর্যন্ত অসমে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫। অসমের হোজাই, নলবারী, ধুবরি, কামরূপ, কোকড়াঝাড়, সোনিতপুর জেলায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী অসমের মোট ২৮ জেলার ১৯ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে ডিাম হাসাও, গোয়ালপাড়া, হোজাই, কামরূপ ও মরিগাঁও এলাকায়।
এবিষয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসিনরামে, যা বৃষ্টির জন্য বিখ্যাত, এক দিনে বৃষ্টি হয়েছে ১০০৩.০৬ মিলিমিটার। জুন মাসে যা সর্বোচ্চ। অন্য দিকে পার্শ্ববর্তী চেরাপুঞ্জিতেও পরিস্থিতি খারাপ। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৯৭২ মিলিমিটার। যা ভেঙে দিয়েছে ২৭ বছরের রেকর্ড। অসমের রাজধানী গুয়াহাটি শহরেও রাস্তায় রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৯৩০টি গ্রামে প্রায় ১ লক্ষ ৬ হাজার ৬৭৭ জনকে ৩৬৩টি নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। সরকারি হিসেবে ২৩৪টি রাস্তা ও ১৬টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলচর, গুয়াহাটি, শিলং ও আগরতলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন হয়েছে।