‘দিদিকে বলো’র পর এবার ‘এক ডাকে অভিষেক’! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি অভিযোগ জানানোর মাধ্যমের ধাঁচেই এবার চালু হচ্ছে ‘এক ডাকে অভিষেক’। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে পোস্টারও পড়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকার নানা স্থানে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানাতে একটি টোল ফ্রি নম্বরও চালু করা হয়েছে সেটা হল ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা ভোটের পরে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস চালু করেছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। যে কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের বৃহত্তর অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূল। এবার সেই ধাঁচেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগের নয়া কর্মসূচি। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে গোটা রাজ্যের মানুষের মন বুঝে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই কর্মসূচির মাধ্যমে ডায়মন্ড হারবারের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক ডাকে অভিষেক’।
উম্পুন হোক বা করোনা পরিস্থিতি বিভিন্ন সময়ে নিজের সংসদীয় এলাকায় পৌঁছে যান অভিষেক৷ সেখানে বিভিন্ন সময়েই দেখা যায় তাঁকে৷ এবার এলাকার মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রাখতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই চালু হচ্ছে এই কর্মসূচি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্যে আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পরেই রাজ্যে আসছে লোকসভা ভোট। তাই এখন থেকেই জনসংযোগে জোর দিতে চাইছেন অভিষেক।
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী কৌশল বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করে। প্রশান্ত কিশোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যার ফলাফল হিসেবে এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। কেউ “দিদিকে বলো”-তে দেওয়া ফোন নম্বরে ফোন করলে তাঁর যোগাযোগের ঠিকানা নোট করা হয় ও নোট করা হয় অভিযোগও। ওয়েবসাইট মারফতও অভিযোগ জানানো যায়। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযোগকারীকে ফোন করা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সেল।
অন্যদিকে, ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ উপলক্ষ্যে কোনওরকম চাঁদা তোলা যাবে না এবং কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে দল যে কড়া অবস্থান নেবে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিষ্কারের কথাও জানিয়েছেন অভিষেক।