এবার সারদা-ইস্যুতে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি, সুজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তিনি। দাবি করলেন, সুজন ও তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের যখন দাপট ছিল, তখনই তাঁদের জেলায় জন্ম এই সারদা গোষ্ঠীর। সারদার যে মামলায় ২০১৩ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে, বৃহস্পতিবার সেই মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুধু কুণাল নন, ওই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন সারদা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ও। এরপর বর্ষীয়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী দাবি করেছেন, শাসক দলের নেতা বলে স্বাভাবিক নিয়মেই কুণালের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর এই কটাক্ষেরই সপাট জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুজনকে জবাব দিতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী তথা আর এক বাম নেতা শান্তিময় ভট্টাচার্যের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। একসময় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক ছিলেন শান্তিময় ভট্টাচার্য। তিনিই সম্পর্কে সুজনের শ্বশুর।
এবিষয়ে কুণালের দাবি, শান্তিময় ও সুজন দুজনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নেতা। আর তাঁদের জমানাতেই সারদার বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল। সুজনের কটাক্ষের সরাসরি জবাব দিয়ে কুণাল জানান, পুলিশ কোনও মামলা তুলে নেয়নি। আইনি প্রক্রিয়ায় লড়াই করে রেহাই পেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, “আপনার জেলা, আপনার শ্বশুরমশাইয়ের জেলায় সারদার জন্ম। সুদীপ্ত সেনের আদালতকে দেওয়া বয়ানে আপনাদের পার্টির নামও আছে। আপনি আজ বড় বড় কথা বলছেন? মিথ্যাচার করছেন?” শুধু তাই নয়, কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন, “আপনাদের জমানায়, শ্বশুর জামাইয়ের দাপটযুগে, আপনার জেলায় সারদা ডালপালা ছড়াল কী করে?” এই প্রসঙ্গে, বউবাজারে রশিদ খানের বাড়িতে বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। তাঁর দাবি, সেই ঘটনায় ছিল সিপিএম নেতাদের যোগ। ছয় নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তই করেনি বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। এর পাশাপাশি, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হতে না পারায় অবসাদগ্রস্ত বলে সুজনকে তোপ দেগেছেন কুণাল।