একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই এই মুহূর্তে তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরা। এবার আসন্ন চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রাকমুহুর্তে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলল তারা। অভিযোগের তীর শাসক দল বিজেপির দিকে। ইতিমধ্যেই সেখানে আহতদের দেখতেও হাজির তৃণমূল নেতারা। পাশাপাশি, ভোট সন্ত্রাস ইস্যুতে আজই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক।
তিনি বলেন, বুধবার ত্রিপুরা ৪৬ সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের এক নির্বাচনী সভা ছিল চাণকাপ বাজারে যেটা দেবীছড়া হয়ে যেতে হয়। সেই চানকাপ বাজারে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের নির্বাচনী সভায় বল্লব মালাকার, দীপক মালাকার, অবিনাশ মালাকার, তাপস মালাকার নামে কয়েকজন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। তারা কেন তৃণমূলে যোগদান করেছেন সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাত প্রায় ১১টার সময় সেখানে কিছু দুর্বৃত্তকারীরা দা ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ চালায়। তৃণমূলের অভিযোগ, এই দুর্বৃত্তকারীরা ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। তাদের আরও অভিযোগ নৃশংস হামলার হাত থেকে বাদ যায়নি তিন বছরের এক শিশুও।