চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ব্যাপারে কারুরই অজানা নয়। বহু কঠিন অসুখ অনায়াসে সারিয়ে তুলছেন সরকারী চিকিৎসকরা। তেমনই আরও একবার নজির গড়ল বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসকরা। প্রসব করাতে গিয়ে চমকে গিয়েছিলেন ডাক্তাররা। মায়ের গর্ভে যে যমজ সন্তান রয়েছে তাদের শরীর নাভি থেকে জোড়া। এমন যমজ শিশুর প্রসব করানো ঝুঁকিপূর্ণ তো বটেই, সামান্য অসতর্কতাতেই মা ও শিশুর প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়। প্রসবের পরে সংক্রমণের ভয়ও থাকে। বড় বড় হাসপাতালে এমন এমন জোড়া যমজ শিশুর অস্ত্রোপচার করানোর পরিকাঠামো থাকে। সেখানে বালুরঘাট সদর হাসপাতালেই এমন অস্ত্রোপচার হয়েছে।
শরীর আলাদা করে দুই যমজ শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন চিকিৎসক। বুক, পেট বা নাভির অংশ অথবা পেলভিস থেকে জোড়া যমজ শিশুদের ডাক্তারি ভাষায় বলে কনজয়েন্ড টুইনস। মায়ের গর্ভেই শরীর জুড়ে যায় দুই ভ্রুণের। এমন যমজ বাচ্চার প্রসব করানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জটিল অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো না থাকলে ঝুঁকি আরও বাড়ে। সেখানে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বালুরঘাট সদর হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ তথা প্রসবকারী চিকিৎসক রঞ্জন কুমার মুস্তাফি।
বালুরঘাট হাসপাতাল তো বটেই, গোটা উত্তরবঙ্গেই এ ধরনের কনজয়েন্ড টুইনস প্রসবের মতো ঘটনা এর আগে হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রসব বেদনা নিয়ে বালুরঘাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় কুমারগঞ্জ ব্লকের বিশ্বনাথপুরের বাসিন্দা জয়া দাস মণ্ডলকে। ডাঃ রঞ্জন কুমার মুস্তাফি জানাচ্ছেন, প্রসূতির গর্ভ স্বাভাবিকের থেকে একটু বড় ছিল। সন্দেহ হওয়াতে ইউএসজি করিয়ে দেখা যায় গর্ভে যমজ শিশু রয়েছে। নাভির নীচ থেকে তাদের শরীর জোড়া কনজয়েন্ড টুইন দেখে ডাক্তারবাবু ঝুঁকি নিয়েই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। অন্য কোথাও রেফার করেননি প্রসূতিকে।