ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে একাধিক ক্ষেত্রে বিলগ্নীকরণের পথে হেঁটেছে মোদী সরকার। যথারীতি নানান মহল থেকে ছুটে এসেছে সমালোচনা। এবার সেই প্রসঙ্গে ফের শুরু বিতর্ক। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটির বৈঠকে ফাইভ-জি টেলিকম প্রযুক্তির স্পেকট্রাম নিলামের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই দেশে এই নিলাম শুরু করবে মোদী সরকার। কিন্তু আগে থেকেই বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য ঢালাও সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেকারণেই শুরু হয়েছে শোরগোল। সরকারি সংস্থাগুলির থেকে রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে আপস করেই একগুচ্ছ ছাড় দিচ্ছে মোদী সরকার, অভিযোগ উঠছে এমনই।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম নির্বাচনী ইস্যুই ছিল ফোর-জি স্পেকট্রাম নিলামে দুর্নীতি। ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। গ্রেফতার হন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা। সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করে তুমুল প্রচার করে তৎকালীন বিরোধী দল বিজেপি। আবার নতুন ফাইভ-জি স্পেকট্রাম বিক্রির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন এই প্রযুক্তির স্পেকট্রামের নানাবিধ ফ্রিকোয়েন্সির নিলাম করা হবে আগামী ২০ বছরের জন্য। জানা যাচ্ছে, নিলামে জয়ী সংস্থাকে এককালীন কোনও টাকা দিতে হবে না কেন্দ্রীয় সরকারকে। ২০টি কিস্তিতে তা মেটালেই চলবে। ১০ বছর পর যে কোনও সময় লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে পারবে স্পেকট্রাম প্রাপক সংস্থা। বার্ষিক কিস্তির সমমূল্যের কোনও ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিও আর প্রয়োজন নেই। এবার স্পেকট্রাম বিক্রির ক্ষেত্রে কোনও কড়াকড়ি রাখছে না মোদী সরকার। বেসরকারি সংস্থাগুলির বাণিজ্যের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই তার জন্য ২০২১ সালের টেলিকম সংস্কার প্রকল্পের মাধ্যমেই সুযোগ দেওয়া কথা স্থির হয়েছে। সুবিধা দিতে গিয়ে সরকারি কোষাগারের আয়ের সঙ্গেও কার্যত আপস করা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলে ধরছেন বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবেই দেশজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়।