বঙ্গ বিজেপির যেন শনির দশা চলছে! একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই দলের অন্দরে চলছে মুষল পর্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, লোকাল ট্রেন থেকে কলকাতার রাজপথে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার— নানা ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে দলেরই অন্য অংশকে। একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। এবার যেমন লকেট, দিলীপদের বাদ দিয়েই সভা করে নিলেন শুভেন্দুরা!
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ায় সভা আছে বুধবার, তাঁদের সেখানে যেতে হবে, এমনটাই তাঁরা জানতেন। সেই মতো মঙ্গলবার রাতে তাঁরা তোড়জোড় করছিলেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায় হঠাতই খবর পান যে, বুধবারের সেই দলীয় সভা মঙ্গলবারই হয়ে গিয়েছে! তাঁদের বাদ দিয়ে। তাঁদের বিন্দুবিসর্গ না-জানিয়ে। এবং মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় বিজেপির সেই সভার মূল আকর্ষণ ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে, বুধবার বাঁকুড়ায় সভা হবে জেনে অন্য কোনও কর্মসূচিও রাখেননি দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ। বাঁকুড়ার সভার উপলক্ষ ছিল, মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি। হুগলির সাংসদ লকেট আবার মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি কর্মসূচির আহ্বায়ক এই রাজ্যে। অথচ তাঁকেই পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে কী ভাবে ওই সভা হয়ে গেল, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
বিজেপির একটি সূত্রের খবর, বাংলায় দিলীপ ঘোষকে গুরুত্বহীন করার প্রক্রিয়া বঙ্গ বিজেপিতে চলছিলই। আর মঙ্গলবারের ওই ঘটনার মাধ্যমে দিলীপকে ঠারেঠোরে সেই কথা বুঝিয়ে দেওয়া হলো। রাজ্য বিজেপির একাংশ চাইছে, দিলীপ জাতীয় রাজনীতিতে মনোনিবেশ করুন। কিন্তু দিলীপ বঙ্গ রাজনীতিতেই থাকতে চান। দিলীপপন্থী রাজ্য বিজেপি নেতাদের দাবি, দলের নিচু তলার কর্মীদের কাছে এখনও তিনি বাংলার অন্য যে কোনও নেতার চেয়ে বেশি জনপ্রিয়, আর সেটাই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর গাত্রোদাহের কারণ। অন্যদিকে, বর্তমানে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লকেট একাধিক বার সরব হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের কাছে। সেই জন্য রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ‘সুনজরে’ নেই হুগলির সাংসদ।
Read: তৃণমূলে যোগ দেওয়ার একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা – ত্রিপুরায় কাঠগড়ায় বিজেপি
Tweet: তৃণমূলে যোগ দেওয়ার একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা – ত্রিপুরায় কাঠগড়ায় বিজেপি
BJP