বছরে ২ কোটি চাকরির সুযোগ তৈরির স্বপ্ন ফেরি করে ২০১৪ সালে দিল্লীর মসনদে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। তিনি ক্ষমতায় আসার পর আট বছর পার হয়ে গিয়েছে। বছরে দু’কোটি চাকরির দিশা এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেনি তাঁর সরকার। যা নিয়ে বিরোধীরা বার বার কটাক্ষ করেছেন, মোদীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভুয়ো ছিল। এই অবস্থায় আবার প্রতিশ্রুতি! আগামী দেড় বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ১০ লাখ সরকারি পদে লোক নিয়োগ করবে বলে দাবি করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে। মঙ্গলবার এক টুইটে জানানো হয়েছে, প্রতি মন্ত্রক এবং বিভাগে মানবসম্পদ খতিয়ে দেখে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, পরের দেড় বছরে সরকার মিশন মোডে ১০ লাখ মানুষকে চাকরি দেবে। ঘটনা হলো, ঠিক দেড় বছর পরে ২০২৪-এ দেশে লোকসভা নির্বাচনও। তাই মোদী সরকারের ঘোষণাকে ‘নির্বাচনী চমক’ এবং ‘ভাঁওতাবাজি’ হিসেবে অভিহিত করে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলকে ইডির তলব নিয়ে এমনিতেই বিজেপির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত কংগ্রেস। তার মধ্যে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘৯০০ ইঁদুর খেয়ে বিড়াল হজে চলল’ বলে অভিহিত করেছে তারা। ইডি জেরার মধ্যে লাঞ্চ ব্রেকে রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, ‘ঠিক আট বছর আগে যেমন যুবসমাজকে বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমন এখন আবার ১০ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এটা জুমলার সরকার নয়, এটা ‘মহা জুমলা’র সরকার! প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে দক্ষ নন, উনি কর্মসংস্থান নিয়ে ‘খবর’ তৈরিতেই পটু।’ তৃণমূলও মোদীর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। দলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, ‘২ কোটি চাকরি থেকে এখন নেমে ১০ লাখে এসে ঠেকেছে। মানুষ এ সব ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছে। এই আশ্বাসে জনতার আর কোনও ভরসা নেই। ২০২৪-এর ভোটে জনতার কাছ থেকে মোদীবাবুরা এর জবাব পাবেন।’
Read: পাওয়ারের নাম প্রস্তাবের সম্ভাবনা – রাজি না হলে রাষ্ট্রপতি পদে মমতার তুরুপের তাস গোপালকৃষ্ণ গান্ধী?
Tweet: পাওয়ারের নাম প্রস্তাবের সম্ভাবনা – রাজি না হলে রাষ্ট্রপতি পদে মমতার তুরুপের তাস গোপালকৃষ্ণ গান্ধী?
Recruitment News