বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী বাংলা ভাগের জিগির তুলছেন। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তোলপাড়। নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল। প্রশ্ন উঠছে, এর পিছনে কি তবে বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য? উত্তরবঙ্গের মানুষ কি সত্যি চায় এই বিভাজন? এমন পরিস্থিতিতে ডুয়ার্সের এক প্রৌঢ়ের কীর্তিতে উদ্বুদ্ধ আপামর বাঙালি। বুধবার ডুয়ার্সের মাটি সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে কালীঘাটের দিকে রওনা দিলেন শঙ্কর ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি। দাবি, বাংলা ভাগ হতে দেবেন না তিনি। তৃণমলের সমর্থক নামে পরিচিত এই ব্যক্তি বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে পাড়ি দিলেন কলকাতা। তিনি চান, কালীঘাটে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ডুয়ার্সের মাটি তুলে দিতে। জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে থাকেন শঙ্করবাবু।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যে পরিণত করার দাবি উঠছে বেশ কয়েকদিন ধরে। বিজেপি সাংসদ জন বার্লা, জয়ন্ত রায়, আবার কখনও কেএলও প্রধান জীবন সিংয়ের মুখে শোনা গেছে উত্তরবঙ্গ ভাগের কথা। যদিও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ নিয়ে মুখ খোলেনি। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলে আসছেন, কোনভাবেই উত্তরবঙ্গকে ভাগ করতে দেবেন না তিনি।সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে আলিপুরদুয়ারের মাটি থেকে মমতা হুঁশিয়ারর দেন, “রক্ত দেওয়ার জন্য তৈরি। বাংলাকে ভাগ করতে দেব না। রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে ভাগ করতে পারবেন?” অর্থাৎ রক্ত দিয়ে বঙ্গভঙ্গ আটকাবেন তিনি। সেই মন্ত্রই উজ্জীবিত করেছে শঙ্করকে। তাই বুধবার ডুয়ার্সের মাটি নিয়ে পায়ে হেঁটে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তিনি। যাওয়ার আগে বলে গেলেন, “১১ বছর ডুয়ার্সের মানুষ যা উন্নয়ন দেখেছে তা বলে শেষ করার মত নয়। ডুয়ার্সের শান্তি নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে।” শঙ্করের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও। বাংলা ভাগ নয়, উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ একসঙ্গে থাকলে তবেই প্রকৃত উন্নয়ন হবে, এমনটাই অভিমত তাঁদের।