বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। বিধায়কের হয়রানির কারণেই একটি পরিবাররে চার জন সদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলেই জোরাল অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হাভেরি জেলায়। বিজেপি বিধায়ক নেহেরু ওলেকার এবং তার সন্তানদের দ্বারা ক্রমাগত হয়রানির হাত থেকে বাঁচতেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে পান্ডপ্পা লামানি (৭০), গুরুচাপ্পা লামানি (৭২), গঙ্গাভা কাব্বুর (৬৫) এবং হনুমানথাপ্পা (৪১) তাদের নিজস্ব চাষের জমিতে দেওয়ার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পরিবাররে অধিকাংশই বয়স্ক ব্যক্তি। তাঁদের সকলকেই চিকিৎসার জন্য দাভাঙ্গের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর পুত্রদের দ্বারা কোন পরিমাণে হয়রানির শিকার হলে আত্মহননের পথ বেছে নিতে পারে মানুষ তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
পরিবাররে অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক নেহেরু ওলেকার এবং তার পরিবার জমি সংক্রান্ত বিরোধের ইস্যুতে হয়রানি করছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে বিধায়ক এবং তার পরিবার দাবি করেছিল যে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রত্যেককে নুন্যতম মূল্যে জমি দিতে হবে। যে জমি সরকার অক্রমা সাকরামা স্কিমের অধীনে কৃষকদের বরাদ্দ করেছিল। সেই জমিই কম দামে কৃষকদের থেকে নেওয়ার জন্য বিজেপি বিধায়ক চাপ দিচ্ছিলেন বলেই অভিযোগ। উল্লেখ্য, গ্রামে মোট ২৯ জন লোক এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকে এক একর ১৫ গুন্টা (দক্ষিণ এশিয়ার পরিমাপ) জমি পেয়েছেন।
আরও অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক দাবি করেছিলেন যে তাদের প্রত্যেকে গুন্টা ফেরত দিতে হবে। গ্রামের জনগণ এর প্রতিবাদ করে এবং জমি ফেরত দিতে অস্বীকার করে। গ্রামের মানুষ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেছে তিনি অফিসারদেরও ওই জমিতে সমীক্ষা করতে দেয়নি। এমনকি তিনি শ্রমিকদের তাদের চাষের জমিতে কাজ না করার জন্য সতর্ক করেছিলেন। এই সমস্ত চাপ ওই পরিবারের চারজন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে যায় বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
Read: লক্ষ্য স্থির – আইপিএলের মানসিকতা কাজে লাগিয়েই রোহিত, রাহুলকে টেক্কা দিতে চান রুতুরাজ
Tweet: লক্ষ্য স্থির – আইপিএলের মানসিকতা কাজে লাগিয়েই রোহিত, রাহুলকে টেক্কা দিতে চান রুতুরাজ
BJP