সোমবারের পর মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীকে জেরা করার জন্য একগুচ্ছ প্রশ্ন প্রস্তুত রেখেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সকাল থেকেই দিল্লীতে সত্যাগ্রহ মিছিলের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। রাহুলের সমর্থনে স্লোগান দেন কংগ্রেস নেতারা। এদিনও সোমবারের মতো এদিনও দিল্লী পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। আটক করা হয় রণদীপ সিংহ সুরযেওয়ালা, অধীর চৌধুরী গৌরব গগৈ, কে সি বেনুগোপাল রাওয়ের মতো শীর্ষ নেতাদের। তাঁদের ইতিমধ্যেই বদরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর কে সি বেনুগোপাল রায় রাহুল গান্ধীর সমর্থনে বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলা। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সবটাই তৈরি করা হচ্ছে।” মিথ্যা মামলায় রাহুল গান্ধীকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দিল্লির রাজপথে বিক্ষোভে সামিল হন কংগ্রেস কর্মীরা। “রাহুল ঝুঁকেগা নহি”, শোনা যায় এমন স্লোগানও।
প্রসঙ্গত, এদিকে ব্যক্তিগত কাজে দিল্লীতে যাচ্ছিলেন রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোস্তারা। তাঁরও পথ আটকায় পুলিশ। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, “কোনও সাধারণ মানুষ মোদীর রাজত্বে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। ” সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। জানা যায়, দু’দফায় মোট ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হ তাঁকে। রাহুল গান্ধীকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তলব করে ইডি। প্রথমে সোমবার দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ চলে। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাহুল পৌঁছন গঙ্গারাম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কোভিডে আক্রান্ত সোনিয়া গান্ধী। মায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফের ইডি দফতরে যান রাহুল।
জানা গিয়েছে, দু’ দফায় তিন ঘণ্টা জেরার পর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দেওয়া হয় কংগ্রেস নেতাকে। ফের তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি দফতরে রাতে হাজিরা দিতে হয় রাহুলকে। জানা গিয়েছে, কম করে ৫৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদকে। দেশ ও বিদেশ মিলিয়ে তাঁর কটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কত সম্পতি রয়েছে, সেই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য জানতে চাওয়া হয় ইডি সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, সোমবার রাহুল গান্ধীর সমর্থনে দিল্লীতে ‘সত্যাগ্রহ মিছিল’-এ অংশ নেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও। মিছিলের অনুমতি না থাকা নেতাদের পথ আটকায় দিল্লী পুলিশ। কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি বেধে যায় পুলিশের। হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে চোট পেয়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। এরপরই জানা যায়, পাঁজরের বাঁ দিকের হাড় ভেঙে গিয়েছে চিদম্বরমের। এরপর প্রতিবাদ দৃঢ়তর করবে কংগ্রেস, এমনই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।