২০২০-তে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্তের সঙ্গে দিল্লীতেও বিক্ষোভ আন্দোলন চলছিল। পাল্টা সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। তেমনই এক সভায় দেশকো গদ্দারও কো গোলি মারো শালকো স্লোগান দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু পুলিশ এফআইআরে তাঁর নাম লিখতে চায়নি। কারণ তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হ্যাঁ, দিল্লী পুলিশ ওই ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করে তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগের নাম ছিল না। সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত দিল্লীর নিম্ন আদালতে মামলা করেছিলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। নিম্ন আদালতও জানিয়ে দেয়, মামলা করা যাবে না মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা ঠোকেন বৃন্দা। সোমবার উচ্চ আদালতও জানিয়ে দিল, অনুরাগ ঠাকুর যেহেতু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সমস্যা আছে।
নিয়ম হল, এফআইআরে মন্ত্রীর নাম জুড়তে হলে সরকারের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দার প্রশ্ন, এই অনুমতি কেন নিতে হবে? আর অনুমতি যদি নিতেই হয় তাহলে মামলাকারীকে কেন এজন্য সরকারের দ্বারস্থ হতে হবে? এই কাজ তো তদন্তকারী সংস্থার। দুই আদালতেই এই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছিলেন বৃন্দার আইনজীবীও। কিন্তু দিল্লীর দুই জেলা আদালত তাতে কর্ণপাত করেনি। হাইকোর্ট প্রশ্নও তুলেছে, মন্ত্রী কি বিক্ষোভকারীদের সামনে দাঁড়িয়ে ওই কথা বলেছিলেন? সরাসরি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয় এই ক্ষেত্রে।
Read: নীতিশের পর সরে দাঁড়ালেন শরদও! – প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নেই পাওয়ার, বলছে সূত্র
Tweet: নীতিশের পর সরে দাঁড়ালেন শরদও! – প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নেই পাওয়ার, বলছে সূত্র
Delhi