এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা রাজ্য অর্থদফত ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। চিঠির মাধ্যমে অমিতবাবু আর্জি জানালেন, জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ বাড়ানো হোক আরও তিন থেকে পাঁচ বছর। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, জিএসটি চালু হলে প্রাথমিকভাবে রাজ্যগুলির যে রাজস্ব ক্ষতি হবে, পাঁচ বছর তার দায় বহন করা হবে। সেই হিসেব মতো ক্ষতিপূরণ মেটানোর সময়সীমা শেষ হচ্ছে এমাসেই। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী মাস থেকে রাজ্যগুলিকে তারা আর জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ দেবে না। কিন্তু তার সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য ফের দাবি জানাল রাজ্য সরকার।
উক্ত চিঠিতে অমিত মিত্র চিঠিতে দাবি জানিয়েছেন, জিএসটির ক্ষতিপূরণ নিয়ে ২০১৬ সালে রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রীয় সরকার একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে কেন্দ্রের বর্তমান সিদ্ধান্তের কোনো সাদৃশ্য নেই। তিন বছর করোনার মধ্যে দিয়ে গিয়ে গোটা বিশ্ব টালমাটাল পরিস্থিতি। কঠিন আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ভারতও। দেশে সম্পূর্ণ লকডাউনের এবং একাধিকবার আংশিক লকডাউন হয়েছে। ২০১৬ সালে জিএসটির ক্ষতিপূরণের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত এমপাওয়ার্ড কমিটি ভবিষ্যতের আর্থিক অবস্থা নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী ছিল। তখন দেশের যে আর্থিক মূল্যায়ন করা হয়েছিল, তা বিপর্যস্ত হয়েছে করোনা ও লকডাউনের প্রকোপে।
পাশাপাশি, চিঠিতে অমিত মিত্র লিখেছেন, করোনা ও লকডাউনের ফলে এখনও ছন্দে ফেরেনি উৎপাদন শিল্প এবং কৃষির জোগা। ছোট ও মাঝারি শিল্প সর্বাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। তারা এখনও অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছে। কঠিন অবস্থা অসংগঠিত ক্ষেত্রেও। অমিত মিত্র জানিয়েছেন, নানান রাজ্যের সরকারগুলি এসবের কারণে আর্থিক চাপে রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। পরিস্থিতি এমনই, করোনার আগের জিডিপির হার ছোঁয়া যাচ্ছে না। আর্থিক বৃদ্ধির যে আশা করা হচ্ছিল, তা শীঘ্রই ছোঁয়া যাবে বলেও মনে হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে আরও তিন থেকে পাঁচবছর জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়াই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন অমিতবাবু। আগামী মাস থেকেই কেন্দ্র যাতে এই সুবিধা দেয়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা এমন আর্জিই জানিয়েছেন তিনি।
Read: পুরস্কারের পালা শেষ করে সোনার ছেলে নীরজ আবার নামছেন সোনাজয়ের লক্ষ্যে – সামনে বড় পরীক্ষা
Tweet: পুরস্কারের পালা শেষ করে সোনার ছেলে নীরজ আবার নামছেন সোনাজয়ের লক্ষ্যে – সামনে বড় পরীক্ষা
GST