ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এর আগেও তলব করা হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। তবে সেই সময় তিনি বিদেশে থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। পরে নয়া সমন জারি করে ১৩ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় রাহুল গান্ধীকে। প্রসঙ্গত, গত ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। তবে তিনি কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় সেদিন হাজিরা দিতে পারেননি। পরে সোনিয়াকেও নয়া সমন জারি করা হয় ইডির তরফে। সেই সমন জারির একদিন পরই হাসপাতালে ভরতি হন সোনিয়া। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে পায়ে হেঁটে ইডি দফতরে যান রাহুল। এরপর দুপুর ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লীর এপিজে আব্দুল কালাম রোডের ইডি দফতর ছেড়ে বের হন কংগ্রেস সাংসদ। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দীর্ঘ তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন রাহুল গান্ধী। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে পায়ে হেঁটে ইডি দফতরে যান রাহুল।
এরপর দুপুর ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লীর এপিজে আব্দুল কালাম রোডের ইডি দফতর ছেড়ে বের হন কংগ্রেস সাংসদ। এরপরই বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে রাহুল পৌঁছে যান স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। এখানেই ভর্তি রয়েছেন কংগ্রেসের অন্তরবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এদিকে এদিন দিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লী পুলিশের তরফে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। তবে ১৪৪ অমান্য করে কংগ্রেস বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। কংগ্রেসের দাবি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, হরিষ রাওয়াত, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, অধীর চৌধুরী, সচিন পাইলট, মল্লিকার্জুন খড়গে, কেসি বেণুগোপাল সহ তাবড় কংগ্রেস নেতাদের আটক করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লী পুলিশ। এদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন যে তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছে পুলিশ।