ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুল গান্ধীকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। এদিন দাদাকে ইডির অফিসে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখান থেকেই থানায় ছুটলেন তিনুই। সেখানে আটক রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের দলীয় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ভূপেশ বাঘেল-সহ একাধিক নেতা। রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং, মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন খেরা, পিএল পুনিয়া, জয়রাম রমেশ, মুকুল ওয়াসনিকরা।
প্রসঙ্গত, রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরার দিন কংগ্রেস প্রতিবাদ মিছিল করবে আগেই ঘোষণা করেছিল। কিন্তু চড়া রোদ উপেক্ষা করে হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী হাজির হবে, আশা করেনি নেতৃত্ব। দিল্লীর আশপাশের এলাকা এবং রাজ্য থেকেও বহু নেতা কর্মী সকাল সকাল রাহুলের বাড়ির সামনে জড়ো হন। পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি। রাহুলের বাড়ি থেকে ইডি দফতর পর্যন্ত রাস্তা ব্লক করে দেয় পুলিশ। তার মধ্যেই রাহুলের গাড়ি ইডি অফিসের দিকে রওনা দিতেই সমর্থকেরা পিছু নেয়। পুলিশ বাধা দিলে প্রবীণ নেতারা রাস্তায় বসে পড়েন।
এরপরই তাঁদের স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, আজ বহুদিন পর কংগ্রেসকে এমন রণংদেহি মেজাজে দেখা গেল। যদিও গ্রুপ-২৩ বলে খ্যাত বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাদের বিশেষ দেখা যায়নি। তবে দিল্লির তীব্র দাবদাহের মধ্যে কংগ্রেসের চড়া মেজাজে প্রতিবাদও নজর কেড়েছে। বস্তুত, রাহুলই যে পরবর্তী সভাপতি এদিন যেন সেই বার্তাও দেওয়ার চেষ্টা হল কংগ্রেসের গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ প্রবীণ ব্রিগেডের তরফে।
Read: নূপুরকে গ্রেফতার করেনি বিজেপি, ঘৃণার রাজনীতি চলছে – তীব্র নিন্দা অখিলেশের
Twitter: নূপুরকে গ্রেফতার করেনি বিজেপি, ঘৃণার রাজনীতি চলছে – তীব্র নিন্দা অখিলেশের
Rahul Gandhi