কোন্দল-কাঁটা থেকে রেহাই নেই বঙ্গ বিজেপির। ফের ঘনীভূত হল পদ্মশিবিরের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। বিগত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই গোষ্ঠীকোন্দলে বিপর্যস্ত বঙ্গ বিজেপি। সাম্প্রতি রাজ্য সফরে এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি নাড্ডা, তার সফরের মাঝেও চরমে উঠেছিল বিক্ষোভ। নাড্ডা ফিরে যাওয়ার দিন তিনেকের মাথায় ফের বিদ্রোহের আঁচ বঙ্গ বিজেপিতে। রাজ্য বিজেপির বেসুরো নেতাদের তালিকায় নতুন সংযোজন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। রবিবার, ১২ই জুন নিজের দল বিজেপির প্রতি দলীয় সাংসদের নিদান এখন দলের আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। দলের সাংসদের এহেন মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্দরে তুমুল জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৯ই জুন থেকে দিল্লীতেই আছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। আজ, সোমবার ১৩ই জুন বাংলায় ফেরার কথা তাঁর।
প্রসঙ্গত, পদ্মশিবিরের নেতাদের কোন্দল সামলাতে এবং বিক্ষুব্ধ নেতাদের তুষ্ট করতেই বাংলা সফরে এসেছিলেন নাড্ডা। যদিও নাড্ডার বৈঠকে রাজ্য বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা যোগ দেননি। ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়াশিবিরের পরাজয়ের পর থেকেই সাংসদ, বিধায়কেরা একের পর এক দলত্যাগ করছেন। জগন্নাথ সরকারের মতে, বঙ্গ বিজেপির এহেন দৈন্যদশার কারণ অনুসন্ধান করতে বিজেপির আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। সকলের মতামত নিয়ে সার্বিকভাবে দলীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি বলেও মনে করেন সাংসদ। স্বভাবতই সাংসদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উঠছে নানান প্রশ্ন। সরাসরি কোন নেতাকেও কাঠগড়ায় তোলেননি বিজেপি সাংসদ। ফলে তুঙ্গে উঠছে দল বদলের জল্পনা। রাজ্য বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরেই চরমে পৌঁছেছে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। এই পরিস্থিতিতে জগন্নাথ সরকারের মন্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। তবে কি দল বদলের পথে প্রথম পা ফেললেন রানাঘাটের সাংসদ? বাড়ছে তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা? আপাতত তুঙ্গে জল্পনা।