সিবিআই আদালতের রায় খারিজ করে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। দুর্নীতি দমন আইনে সিবিআই তদন্ত করে এবং তদন্ত শেষে আলিপুর সিবিআই তদন্তের বিচারে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় তথা কাস্টম আধিকারিক। দোষী সাব্যস্ত হন কাস্টম আধিকারিকের স্ত্রীও।
সম্পত্তি বহির্ভূত আয়ের অভিযোগে সিবিআই ৩৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে কাস্টমস আধিকারিকের বাড়ি থেকে। বালিগঞ্জের কাস্টমস আধিকারিকের বাড়ির ওই টাকা ঘুষ হিসাবে বেআইনি টাকা সংগ্রহ করে বলে অভিযোগ ছিল সিবিআইয়ের। ২০১৩ সালে নেপালে রাসায়নিক সার সরবরাহের সময় উৎকোচ হিসাবে ওই টাকা কাস্টমস অফিসার নিয়েছেন বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল।
প্রথমে দিল্লিতে সিবিআইয়ের মামলা হলেও, পরে তা কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়ে আসে। সিবিআই আলিপুর আদালতের রায়ে কাস্টমস অফিসারের ৬ বছরের জেল হয় এবং তাঁর স্ত্রীর আড়াই বছর জেল হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ২০১৮ সালে আপিল মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল শুক্রবার। দম্পতির পক্ষে আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় যে সওয়াল করেন, এক, ওই ৩৬ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা যা ঘুষ বলে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। দুই, এটা নগদ টাকা ছিল। এই হকি খেলোয়াড়ের স্ত্রী এবং মায়ের। তাঁরা চিত্রশিল্পী। এই টাকা কালো টাকা নয়। এই টাকার বৈধ লেনদেনের প্রমাণ আদালতে তুলে ধরেন। নন্দকিশোর রাই এবং বন্দনা রাইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে সিবিআই আদালতের রায় খারিজ করে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।
বারবার সিবিআই তদন্তের উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসছেন বিরোধীরা৷ তদন্ত শেষ করার হারেও সিবিআই অনেক পিছিয়েই বলে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সূত্রে জানা যায়। কাস্টমস অফিসারের বাড়িতে কালো টাকা উদ্ধারই যদি হবে সেই তদন্তে এত ফাঁকফোকর থাকবে কেন? নেপালে যে সার সরবরাহ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত এবং এই লেনদেনের সূত্রেই যদি কাস্টমস আধিকারিক ঘুষের টাকা পেয়ে থাকেন তা হলে শুল্ক দফতরের দায়িত্ব প্রাপ্ত অন্য আধিকারিকদের ভূমিকা সিবিআই তদন্তে নীরব থাকল কেন?
High Court