গত দু’দিন ধরে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় পথ অবরোধের পাশাপাশি রেল অবরোধ এবং ভাঙচুর, আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসবের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু হাওড়া যেতে দেওয়া হবে না বলে আগেই তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। এর পরেও তিনি জোর করেই হাওড়ার পথে রওনা দেন। বার বার পুলিশ বাধা দিলেও তিনি কনভয় নিয়ে বিদ্যাসাগর সেতুতে পৌঁছে যান। অবশেষে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সুকান্তকে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর টোল প্লাজার কাছে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।
প্রসঙ্গত, এদিন বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে উত্তপ্ত হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু রওনা হওয়ার আগেই তাঁকে আটকে দিতে চায় পুলিশ। এ নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মী এবং সুকান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। শেষ পর্যন্ত দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ সুকান্ত জোর করেই নিউ টাউনের বাড়ি থেকে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতাল এলাকা পার হয়ে বিদ্যাসাগর সেতুতে সুকান্তর কনভয় উঠতে গেলেই বাধা দেয় পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন সুকান্ত। ফের গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু টোল প্লাজা যেতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অশান্তি বন্ধ করতে প্রশাসন যে কঠোর মনোভাব নেবে তা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্তের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সেই কঠোর মনোভাবই দেখাল পুলিশ। গ্রেফতার পরে তাঁকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়।
Sukanta Majumdar