দেশের ১৫ রাজ্যে রাজ্যসভার ৫৭টি আসনে শুক্রবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আর তাতে অতীতের ট্র্যাডিশন মেনে চলছে ক্রস ভোটিংও! যেমন রাজস্থানে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন দুই বিজেপি বিধায়ক। কর্ণাটকেও দলের নির্দেশ অমান্য করে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন এইচডি দেবগৌড়ার সংযুক্ত জনতা দলের দুই বিধায়ক। আর ওই ক্রস ভোটিংয়ের ফলে দুই রাজ্যেই বেশ খানিকটা স্বস্তিতে কংগ্রেস।
এদিনের রাজ্যসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা তৈরি হয় হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও রাজস্থানে। বিধায়কদের কেনা-বেচার হাত থেকে বাঁচাতে হরিয়ানা ও রাজস্থানে নিজেদের বিধায়কদের রিসর্ট বন্দি করেছিল কংগ্রেস ও বিজেপি। রাজস্থানে চার আসনের মধ্যে বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে দুটি আসনে কংগ্রেসের এবং একটি আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত।
চতুর্থ আসনে কংগ্রেসের জয় রুখতে বিজেপি আসরে নামিয়েছিল ‘জি’ টিভির মালিক সুভাষ চন্দ্রাকে। তিনি দাবি করেছিলেন, কংগ্রেসের ৮ জন তাঁকে ভোট দেবেন। কিন্তু এদিন ভোট শুরু হলে দেখা যায় বিজেপির বিধায়ক শোভারানী কুশাওয়া দলের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।
এছাড়া ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির আরও এক বিধায়ক কৈলাসচন্দ্র মীনার বিরুদ্ধেও। রাজস্থানের পাশাপাশি ক্রস ভোটিং হয়েছে কর্ণাটকেও। দক্ষিণী রাজ্যে দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার সংযুক্ত জনতা দলের দুই বিধায়ক শ্রীনিবাস গৌড়া ও শ্রীনিবাস গুব্বি। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন শ্রীনিবাস গৌড়া।