হজরত মহম্মদকে নিয়ে দুই বিজেপি মুখপাত্রের মন্তব্যে ইসলামিক দেশগুলি যতই ভারতের উপর চাপ বাড়াক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ নিয়ে এখনও মৌন বজায় রেখেছেন। ইসলামিক দেশগুলিকে শান্ত করতে স্রেফ ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি মনে করছেন, ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থান আগামী দিনে ভারতকে আরও চাপে ফেলতে পারে। রাষ্ট্রসংঘেও সমস্যায় পড়ে যেতে পারে ভারত। মোদির নীরবতা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দল, বিজেপির যে দুই মুখপাত্র হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, তারা এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরছেন। একাধিক রাজ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কেউ গ্রেফতার হননি। বিজেপিও স্রেফ দুই মুখপাত্রকে সাসপেন্ড করে দায় এড়িয়েছে। সরকার বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, এই ধরনের মন্তব্য যারা করছে, তারা নেহাত প্রান্তিক শক্তি। ভারত সরকার সব ধর্মকে সম্মান করে। কিন্তু হামিদ আনসারি মনে করছেন, এসবই নেহাত নগণ্য। তাঁর বক্তব্য, ‘সঠিক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এই সমস্যাটা মেটানো উচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই নিয়ে অনেক আগে হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল’।
আনসারি বলছেন,’আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলা উচিত ছিল। উনি জানেন এই পরিস্থিতিতে কী বলা উচিত। আশা করি এটা ওকে শিখিয়ে দিতে হবে’। আনসারির বক্তব্য, ভারত সরকার এই সমস্যার গভীরতা বুঝতে পারছে না। এটা নির্দিষ্ট কোনও দেশের ব্যাপার নয়। অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের সদস্য সংখ্যা ৫২। এই ৫২টি দেশ একজোট হয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নিলে যে কোনও ইস্যুতেই চাপে পড়বে ভারত সরকার।
Read: ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে মন্ত্রীমশাইয়ের নজির – দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করলেন দাপুটে মনোজ
Twitter: ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে মন্ত্রীমশাইয়ের নজির – দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করলেন দাপুটে মনোজ
United Nations