এ যেন মগের মুলুক! প্লাস্টিক বর্জিত স্থান হলেও বুধবার জাতীয় গ্রন্থাগারের সেমিনার হলে বিজেপির বৈঠকের পরেই বাগান থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের যত্রতত্র ছড়িয়ে থার্মোকলের থালা-বাটি, প্লাস্টিকের প্যাকেট! আর জাতীয় গ্রন্থাগারের এমন ছবি দেখেই বিস্মিত, বিরক্ত নিয়মিত পাঠক-পাঠিকারা।
প্রসঙ্গত, বুধবার সেমিনার হলে বিজেপির বৈঠকের পর দলীয় কর্মীদের হাতে যে খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়, তারই উচ্ছিষ্ট ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও। বিষয়টি সামনে আসতে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। ক্ষমা পর্যন্ত চাইছেন তাঁরা। যদিও তাতে বিতর্কে দঁড়ি পড়ছে না।
লাইব্রেরিতে দীর্ঘদিন যাতায়াত করেন, এমন অনেকে মনে করাচ্ছেন ২০০৫-এর ১২ জানুয়ারির ঘটনাটা। সে বার একটি বণিকসভার উদ্যোগে ভাষা ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন। তাঁর নিরাপত্তার খাতিরে সে দিন সাধারণ পাঠকদের জন্য বন্ধ ছিল গ্রন্থাগার। বিষয়টি জেনে পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সে বছরই শেষ দিকে গ্রন্থাগারের ভাষা ভবন সেমিনার হলে ফের একটি আলোচনাসভায় আমন্ত্রিত হন মনমোহন। কিন্তু পাঠকদের কথা ভেবে আলোচনাস্থল সরানোর কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছিল, গ্রন্থাগারে এমন কিছু করা যাবে না যাতে পাঠকদের অসুবিধা হতে পারে।
রাজনৈতিক সভার পরদিন গ্রন্থাগারের পরিস্থিতির জেরে অস্বস্তিতে কর্তৃপক্ষ। ডিরেক্টর জেনারেল অজয়প্রতাপ সিং বলেন, ‘পাঠকদের কাছে আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। সভা মিটে যাওয়ার পরেই বিষয়টি দেখা উচিত ছিল।’
গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও এ নিয়ে অস্বস্তি স্পষ্ট। বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিবেশ এ ভাবে নষ্ট করা অমার্জনীয় অপরাধ। দলীয় আলোচনায় জানাব।’ আবার পাঠকদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।’
Read: বিরাট-পন্থ এখন এক সারিতে – দেশের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হেরেছিলেন দুই অধিনায়ক
Twitter: বিরাট-পন্থ এখন এক সারিতে – দেশের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হেরেছিলেন দুই অধিনায়ক
bjp