ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল মোদী সরকার। এবার সংশয় প্রকাশ করলেন শান্তনু সেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রশ্ন তুললেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে কেন্দ্র সাংসদদের কাছ থেকে তাঁদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা অনুদান হিসেবে নিলেও সেই টাকার একশো শতাংশ খরচ করা হচ্ছে না কেন? সূত্র অনুযায়ী, শান্তনুর অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের কর্তাদের কাছে কৈফিয়ৎ চেয়ে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সংসদীয় এলাকা উন্নয়ন তহবিল কমিটির চেয়ারম্যান হরিবংশ সিংহ।
প্রসঙ্গত, আজ দিল্লীতে সংসদীয় এলাকা উন্নয়ন তহবিল সংক্রান্ত বৈঠকে শান্তনু বলেন, ২০০৪ সালে সুনামির পরে সাংসদেরা নিজেদের তহবিল থেকে ৩১.৩৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ১৮ বছর পরেও সেই টাকার ৯৫ শতাংশ খরচ হয়েছে। বাকি টাকার কোনও খোঁজ নেই। একই ভাবে ২০১১ সালে সিকিমের ভূমিকম্পের সময়ে ৫.৮৬ কোটি টাকা সংগ্রহ হলেও খরচ হয়েছিল ৫.৫১ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের কেরলের বন্যার পরে সাংসদেরা নিজেদের তহবিল থেকে দিয়েছিলেন ৩৯.৫৩ কোটি টাকা। তার মধ্যেও খরচ হয়েছে ৩২.২৮ কোটি টাকা, অভিযোগ শান্তনুর।
এর পাশাপাশি, প্রায় দশটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উদাহরণ দিয়ে শান্তনু বলেছেন, উক্ত সময়ে সাংসদদের তহবিল থেকে টাকা নেওয়া হলেও একটি ক্ষেত্রেও তার একশো শতাংশ খরচ হয়নি। সূত্রের দাবি, বাকি টাকা কোথায় গেল, তা কমিটির চেয়ারম্যান হরিবংশ সিংহের কাছে জানতে চান তিনি। বিষয়টিতে তাঁকে সমর্থন করেন অন্য সাংসদেরাও। বৈঠকে উপস্থিত পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের সচিবের কাছে জবাব চেয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বাকি টাকা কোথায় গেল, তা জানার অধিকার রয়েছে সাংসদদের। কেন সম্পূর্ণ অর্থ খরচ করা যায়নি এবং সেই টাকা কোথায় রয়েছে, তার সবিস্তার রিপোর্ট মন্ত্রকের কর্তাদের জমা দেওয়ার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন হরিবংশ। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়বে পদ্মশিবির, এমনই ধারণা রাজনৈতিক কারবারিদের।
disaster management fund