বঙ্গ বিজেপির যেন শনির দশা চলছে! একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই দলের অন্দরে চলছে মুষল পর্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, লোকাল ট্রেন থেকে কলকাতার রাজপথে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার— নানা ভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে দলেরই অন্য অংশকে। একের পর এক পুরভোট, উপনির্বাচনে হারের পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বড় চেহারা নিয়েছে। এবার যেমন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার অনুষ্ঠানকে ঘিরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল হুগলিতে। জেপি নাড্ডার অনুষ্ঠানে ঢুকতে না পেরে বিক্ষোভ দেখালেন অনেকেই। আবার হুগলির অনুষ্ঠানে জেপি নাড্ডা পৌঁছনোর আগেই এক বিজেপি নেতাকে ধমক দিলেন হুগলির সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এমনকি, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা এবং মারামারিও হয়েছে। যার ফলে এক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।
গতকাল হুগলির চুঁচুড়ার জোড়াঘাটে জে পি নাড্ডার কনভয় এসে পৌঁছনোর আগে দেখা যায় হুগলির বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহকে কিছু একটা বলছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এমনকি রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে আঙুল উঁচিয়েও ধমকান তিনি। তাঁকে বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিলো সেই সময়। বিজেপির অন্যান্য নেতা সুবীর নাগ, স্বপন পাল, হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার প্রমুখ নেতারা তখন লকেটকে থামানোর চেষ্টা করলেও ওই বিজেপি নেতাকে তিনি শাঁসিয়ে যান। তারপরে জেপি নাড্ডার কনভয় এসে পৌঁছলে সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। চুঁচুড়ার পর চন্দননগরে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানেও তাঁর সভাকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যায়। অনেকেই বিজেপির সভাপতির সভায় ঢুকতে পারেননি। এ নিয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে বচসা এবং মারামারি হয় বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, জেপি নাড্ডার অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত থাকবেন তার তালিকা তৈরির দায়িত্ব ছিল দীপাঞ্জনের উপর। তাই যে সমস্ত নেতাকর্মীরা ঢুকতে পারেনি তাঁরা দীপাঞ্জনকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন।
jp nadda