একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই পদ্মশিবিরে শনির দশা অব্যাহত। সময় যতই এগিয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সাংগঠনিক দুর্বলতা। আসন্ন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের আগে ফের প্রকট হল সেই দুরবস্থা। মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। বিজেপির অবস্থা কার্যত তথৈবচ। সব আসনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ তারা। এমনকী বেশ কিছু আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন প্রার্থীর। পাশাপাশি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যেও জোট হয়নি। সবমিলিয়ে ব্যাকফুটে বিরোধী দলগুলি।
প্রসঙ্গত, কদিন আগে শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রথমবার বিরাট জয়ের পর এবার মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে জিততেও মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচীর মাধ্যমে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছে দল। তারই ফলস্বরূপ নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই বিরোধীদের চেয়ে ঢের এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, “তৃণমূল ‘ভোট পাখির’ দল নয়। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সারা বছর গ্রামবাসীদের পাশে থাকেন দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকরা। কাজেই ভোট নিয়ে দল উজ্জীবিত। এবার ভোটেও ব্যাপক সাফল্য মিলবে।”
পাশাপাশি, বামফ্রন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬২টি আসনের সিপিএম ৩১০টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ১৪টি, বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল ১২টি আসনে লড়াই করছে। তারা কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে ৬৫টি আসনে। সব মিলিয়ে জোট হয়েছে ৪০১টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ৬৬টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৫৩টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক দু’টি আসনে লড়ছে। এখানে তারা কংগ্রেসকে তিনটি আসনে সমর্থন করছে। সব মিলিয়ে এখানে জোট হয়েছে ৫৮টি আসনে। আর মহকুমা পরিষদের ন’টি আসনের মধ্যে আটটিতে লড়ছে বামেরা। কাজেই দিশেহারা তারাও। ফলাফল নিয়েও খুব একটা আশাবাদী নন নেতারা।
tmc
read: একুশের ভরাডুবির পরেও বোধোদয় হয়নি বিজেপির! – বাংলা ভাগের দাবির সমর্থনে ফুটে উঠছে বাঙালি-বিদ্বেষ