গরমের প্রকোপ কাটিয়ে ক্রমশ দেশে প্রবেশ করছে বর্ষা। কেরলে নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হয়েছে বর্ষার মরসুম। বাংলায় যদিও এখনও বর্ষার আগমন ঘটেনি। কবে তা আসবে, আগামী ১০ই জুনের পর তা বোঝা যাবে। তবে তার আগে বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্যভবন। আর সেই কারণে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে প্লেটলেট মজুত রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। পাশাপাশি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু রাজ্যে দাপট দেখিয়েছে। মশাবাহিত রোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। এ বছর বর্ষার আগে শহরে বিভিন্ন নালা, খাল সংস্কার করা হলেও, সবগুলি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। আর সেই কারণে এবছর বাড়তে পারে মশার দৌরাত্ম্য। সেই আশঙ্কায় ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে প্লেটলেট মজুত রাখতে বলেছে স্বাস্থ্যভবন। হেমারেজিক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সব সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের বিভিন্ন উপাদান পৃথক করার মত পরিকাঠামো নেই। কারণ যে যন্ত্র দিয়ে এটি করা হয় তার দাম অনেক। রাজ্যের হাতেগোনা সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের কয়েকটিতে এই সুবিধা রয়েছে। রাজ্যের ৮৭টি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের মধ্যে মাত্র ৪০টির বেশি ব্লাড ব্যাঙ্কে এই সুবিধা রয়েছে। যেখানে রক্ত থেকে প্লেটলেটস পৃথক করা যায়। হেমারেজিক ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য প্লেটলেটস প্রয়োজন হয়। স্বাস্থ্যভবন সূত্র জানা যাচ্ছে, গত ৫ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাটা থাকে ১০১২ জন পর্যন্ত। গত ২ বছর করোনা অতিমারীর সময় সেই সংখ্যাটা আরও কম ছিল।কিন্তু এ বছর এই সময় পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে বেশি। আর সে কারণেই বাড়তি তৎপরতা অবলম্বন করছে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর।
dengue
read: রঞ্জি ট্রফি – কর্ণাটককে তিন দিনে হারিয়ে রঞ্জির সেমিফাইনালে পৌঁছল উত্তরপ্রদেশ