সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর তাতে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিসাবে অ-কংগ্রেসি কোনও নেতাকে দাঁড় করাতে সক্রিয় তৃণমূল, আম আদমি পার্টির (আপ) মতো দল। এই আবহেই এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে শুরু করলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী দেওয়া হলেও হার নিশ্চিত বুঝে এত দিন কংগ্রেস নেতৃত্ব এ নিয়ে উদ্যোগী হতে উৎসাহিত ছিলেন না। তবে বিজেপিকে একেবারে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেওয়া যায় না বুঝে এবার বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে হায় শিবির।
সূত্রের খবর, বিরোধীরা কংগ্রেসের বাইরের কোনও নেতাকে প্রার্থী করার বিষয়ে ঐকমত্য হলে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা তাতেই রাজি হয়ে যাবেন। না হলে দলেরই কোনও প্রবীণ নেতাকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল আগেই কংগ্রেসের বাইরের কাউকে প্রার্থী করার পক্ষে মত দিয়েছে। তাই কংগ্রেস এই মুহূর্তে এ বিষয়ে নরম অবস্থান নিচ্ছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, যদি সকলের গ্রহণযোগ্য কোনও ব্যক্তি প্রার্থী হতে রাজি হন, কংগ্রেসও তাঁকে মেনে নেবে।
প্রসঙ্গত, অনেক আগে থেকেই শিবসেনা শরদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করে রেখেছে। তৃণমূলেরও শরদ পাওয়ারের নামে আপত্তি নেই। যদিও লোকসভা, রাজ্যসভার সাংসদ সংখ্যা এবং উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুরে বিজেপি ফের জিতে আসার পরে যে সমীকরণ দাঁড়িয়েছে, তাতে কংগ্রেস হাইকমান্ড মনে করছে, কোনও ভাবেই কংগ্রেস বা বিরোধী জোটের প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জেতা মুশকিল। একমাত্র বিজু জনতা দল, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির মতো দলগুলিও কংগ্রেস-সহ বিরোধী জোটের পাশে দাঁড়ালে লড়াই হতে পারে।