শেষমেশ গ্রেফতার হলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধু সিং ধারামস্ত। সম্প্রতি পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান মাস দুই আগে ঘোষণা করেছিলেন যে, অচিরেই হাইকোর্টের কাছে আর্জি জানাবেন, জেলে সাধুকে যেন ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেফতার হতে যাচ্ছেন, এমনই আভাস দিয়েছিলেন ভগবন্ত। মঙ্গলবার সাত সকালে সাধুকে গ্রেফতার করে পাঞ্জাব পুলিশ। ক্যাপ্টেন ওমরিন্দর সিংয়ের মন্ত্রিসভায় বন ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন সাধু। দুই দফতরেই তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি টাকা তছরুপের অভিযোগ ছিল। তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন এক বিভাগীয় সচিব সরকারি অর্থ খরচে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে নাম জড়ায় সাধুর নাম।
প্রসঙ্গত, আপ সরকারের অভিযোগ, সাধু রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে এতদিন জেল যাওয়া আটকে রেখেছিলেন। চূড়ান্ত তদন্তে রাজ্য সরকার, এমনকী কেন্দ্রীয় টিমও তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। সমাজকল্যাণ দফতরে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ থাকায় দিল্লীর টিমও তদন্ত করে। দুই তদন্তে মন্ত্রী সাধুর যোগের প্রমাণ পায়নি তদন্তকারীরা। কিন্তু এ বছর মার্চে সরকার গঠনের পরই মান নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। নতুন মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নিজের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জেলে ঢুকিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজের বরাত দেওয়াতে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ ছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পর দিন পনেরোর মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী সাধুর গ্রেফতারি ঘিরে পাঞ্জাবে রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে। মুখে মুখে প্রশ্ন ঘুরছে, এরপর কে গ্রেফতার হবেন? আপ ক্ষমতায় আসার আগে কথা দিয়েছিল, দুর্নীতিমুক্ত সরকার উপহার দেওয়াই শুধু নয়, তারা ক্ষমতায় এলে পুরনো সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত হবে। প্রাক্তন মন্ত্রী সাধুর গ্রেফতারি তাতে নয়া মাত্রা যোগ করল। কারণ, আগের দুটি তদন্তে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁকে।