নতুন বিতর্কের মুখে পদ্মশিবির। গত ২৮শে মে হায়দ্রাবাদের জুবিলি হিলস এলাকায় গাড়ির ভিতরে গণধর্ষণের শিকার হন এক নাবালিকা। পুলিশের জালে ইতিমধ্যেই তিনজন ধরা পড়েছে। ধৃতদের অন্যতম তেলেঙ্গানার শাসকদল টিআরএসের নেতার আত্মীয়। এই মামলায় দুই অভিযুক্ত নাবালক। হায়দরাবাদের বুকে রীতিমতো জনবহুল স্থানে এহেন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে তোলপাড়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শনাক্ত করা গিয়েছে পাঁচজনকে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, একটি মার্সিডিজ গাড়ির ভিতরে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, অন্য একটি এসইউভির ভিতরে নিগৃহীতা ধর্ষণের শিকার হন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নিগৃহীতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা যায় না। বিজেপি বিধায়ক সেই নির্দেশ লঙ্ঘন করেছেন। মানিকমের অভিযোগ, স্রেফ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এমনটা করছে গেরুয়া শিবির। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “এভাবে তেলেঙ্গানার একটি মেয়েকে সঙ্ঘী কিংবা টিআরএসকে অপমান করতে দেব না আমরা।” এদিকে রঘুনন্দনের দাবি, পুলিশ নাবালকদের ক্লিন চিট দেওয়ার পরই বাধ্যত ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন তিনি। ওই ভিডিওই যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের অভিযোগ প্রমাণের একমাত্র নথি, সেকথাও বলেন তিনি।
হায়দরাবাদের আবিদস পুলিশ স্টেশনে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৮এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের এফআইআর-এ লেখা ছিল, ‘হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে নাবালিকার গণধর্ষণের ঘটনায়… তিনি (বিজেপি বিধায়ক) ঘটনার ভিডিও ও ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যাতে নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। এবং যেখানে তদন্ত চলছে সেই সময় তাঁর এই পদক্ষেপে মনে হয় তিনি বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করছেন ও নির্যাতিতার চরিত্র হরণ করছেন।’ গত ৪ জুন বিজেপি বিধায়ক মিডিয়ার সঙ্গে একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ও কিছু ছবি শেয়ার করেন। এই ভিডিয়ো প্রকাশ করে তিনি দেখাতে চান, জুবিলি হিলসের গণধর্ষণের ঘটনায় মিম বিধায়কের ছেলেও জড়িত রয়েছে।