আগামী পয়লা জুলাই রথযাত্রা। মহা সমারোহে ধুমধাম করে রথ বেরবে। বেলঘরিয়ায় তৈরি হচ্ছে তারই প্রস্তুতি। ১৭৯৪ সাল থেকে শুরু হয় বেলঘড়িয়ার রথযাত্রা। বালির পাঠক পরিবার এবং বেলঘড়িয়ার ঘোষাল পরিবারের তত্ত্বাবধানে চালু করা হয় এই রথযাত্রা অনুষ্ঠান। শোনা যায়, সেই আমলে রথ থাকত ঘোষাল পরিবারের তত্ত্বাবধানে এবং বিগ্রহ থাকত বালির পাঠক পরিবারের কাছে। এখন কামারহাটি পুরসভা ও ইয়ং বেঙ্গল ক্লাবই মূলত পরিচালনা করে রথযাত্রা ও রথের মেলাটি। এখন যেখানে ক্ষুদিরাম বসু হাসপাতাল, সে-জায়গাটা ছিল আগে ঘোষালদের মালিকানায়। সারাবছর সেখানেই থাকত রথটি। সেই থেকে লোকমুখে পুরো এলাকাটাই পরিচিত হয় ‘রথতলা’ নামে। এবার সেই বেলঘরিয়ায় তৈরি হচ্ছে কমবেশী ৩০ ফুটের তিনটি রথ। সম্পূর্ণ পুরীর নিয়ম মেনে চলছে সেই কাজ। আর তা খতিয়ে দেখতে বেলঘড়িয়া এসেছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। প্রায় দু মাস ধরে এই রথ নবির্মাণের কাজ চলছে বলে জানায় বেলঘড়িয়া রথতলার জগন্নাথ মন্দির কমিটি। এই রথ নির্মাণের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা হয়েছে বিশেষ কাঠ। এবার মহা সমারোহেহতে চলেছে বেলঘড়িয়ার রথযাত্রা অনুষ্ঠান। ধুমধাম করে রথের দড়িতে পড়বে টান।
আর তাই তৈরি হচ্ছে কমবেশী ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বিশাল আকৃতির তিনটি রথ। যা দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। বেলঘড়িয়ার। রথতলা এলাকায় রয়েছে জগন্নাথ দেবের মন্দির। মন্দিরকে ঘিরে বহু ভক্তের আনাগোনা হয় প্রতিদিন। মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর ৩০ ফুটের রথ তৈরি হচ্ছে। সেই রথের কাজ কেমন এগোচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে আসলেন ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। রথের কাঠ ওড়িশার কটক, রাউরকেল্লা, ধৌরা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে। রথ যাত্রার জন্য তিনটি রথ তৈরি হচ্ছে। ৩০ ফুট এর ১৬ চাকার এই রথে জগন্নাথ দেব বিরাজ করবেন, ২৮ ফুটের রথটিতে বিরাজ করবেন বলরাম এবং ২৭ ফুটের রথে বিরাজ করবেন সুভদ্রা। পুরীর মন্দিরের রথের শিল্পীরাই বেলঘড়িয়ার রথ নির্মাণ করছেন বলে জানানো হয়েছে বেলঘড়িয়ার রথতলা জগন্নাথ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে নানা প্রজাতির কাঠ নিয়ে এসে চলছে এই রথ নির্মাণের কাজ। যে রথ গুলি এখানে তৈরি হচ্ছে, তা পুরীর রথ তৈরীর সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে বলে জানানো হয় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। আগামী পয়লা জুলাই রথযাত্রার দিন রথগুলি বেলঘড়িয়ার বিটি রোড থেকে যাত্রা শুরু করে বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করবে। জগন্নাথ মন্দির সহ এই রথযাত্রাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই এলকার ধর্মপ্রাণ ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা যথেষ্টই। মন্দির কমিটির দায়িত্বে থাকা সোমনাথ রায় চৌধুরী জানান, এই রথ নির্মাণের কাজ প্রায় দু’মাস ধরে চলছে।